সংক্ষিপ্ত
আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল বাংলা। আজ , শুক্রবার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বাংলা অচল করার একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই অবস্থায় পিছিয়ে নেই শাসক দল। আজই বিকেলে পথে নামছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কিন্তু কেন মিছিল, কী দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের - তারই ব্যাখ্যা দিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন।
ডেরেক ও'ব্রায়েন জানিয়েছেন তদন্ত সংক্রান্ত একাধিক দাবি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী, তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। সেই দাবি নিয়েই তিনি আজ পথে নামছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করে ডেরেক ও'ব্রায়েন
মমতার মিছিলের কারণ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
কলকাতায় তরুণী হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনা জঘন্যতম অপরাধ। জনগণের ক্ষোভের কারণ খুব স্বাভাবিক। পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দল। তারপরই মমতার কর্মসূচি ও কারণ জানিয়েছেন ডেরেক।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ বলেছেন, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় একটি সমাবেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ কারণ হল-
- ১। সিবিআই এখন যে মামলার দায়িত্বে রয়েছে তাদের অবশ্যই তদন্তের প্রতিদিনের আপডেট দিতে হবে।
- ২। কলকাতা পুলিশকে তদন্ত শেষ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার অর্থাৎ ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। সিবিআই-এর ক্ষেত্রেও সেই সময়সীমা প্রযজ্য রাখতে হবে। অর্থাৎ সিবিআইকেও শুক্রবারের মধ্যে আরজিকর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ করতে হবে।
- ৩। একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ন্যায় বিচার তখনই সম্ভব যখন সিবিআই এই ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও দ্রেফতার করে আদালতে বিচারের জন্য পাঠাবে।
- ৪। সিবিআই তদন্তের ভার হাতে নিয়ে আরজি করকাণ্ডকে কখনই ঠান্ডাঘরে পাঠাতে পারবেন না। সময়ের জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ও দোষীদের কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাবা এই বর্বরোচিত কাজ করেছে তাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া যাবে না।
ডেরেক আরও জানিয়েছে, বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় ৩০-৩৫ জনের একটি দল যুক্ত বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বিকেল ৩টে নাগাদ মৌলালিতে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, মৌলালি থেকে এই মিছিল শুরু হবে। যা যাবে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত। তৃণমূল সুপ্রিমো ছাড়াও তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।