সংক্ষিপ্ত
এখনও আলুর দম বা আলু সেদ্ধ খাওয়ার জন্য বাঙালিকে দুই থেকে তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ খুচরো বাজারে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে বলেই মনে করছে ব্যবসায়ীরা।
শনিবার থেকে চলা কর্মবিরতি অবশেষে তুলে নিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এখনও বাজারে আলোর জোগান স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে বলেও জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি সরকার রাজ্যে আলুর রেটও বেঁধে দিয়েছে। যদিও রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে খোলা বাজারে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
এখনও আলুর দম বা আলু সেদ্ধ খাওয়ার জন্য বাঙালিকে দুই থেকে তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ খুচরো বাজারে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে বলেই মনে করছে ব্যবসায়ীরা। এদিন প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমতি কর্মবিরতি তুলে নেয়। কিন্তু আলুর দাম নিয়ে জটিলতা রয়েই গেছে। তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরেও ভিনরাজ্যে আলু রফতানি করতে পারবে না ব্যবসায়ীরা। যেমন নজরদারি আগে চলছিল তা ওখনও বর্তমান থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে।
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, খোলাবাজারে ৩০ টাকার নীচে আলু বিক্রি করতে হবে। কিন্তু মন্ত্রীর আশ্বাস মেনে নিতে নারাজ আলু ব্যবাসীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, হিমঘর থেকে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে অর্থাৎ ২৬ টাকা কিলোদরে আলু বিক্রি হবে। কিন্তু খোলা বাজারে সেই আলু যখন পৌঁছাবে তখন দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে। তাই মন্ত্রী আশ্বাস দিলেও খোলা বাজারে ৩০ টাকার নীচে কখনই আলুর গাম থাকবে না। ৩০ টাকার বেশি হবে আলুর দাম।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, হিমঘরের সামনে সরকারি প্রস্তাব মেনেই ২৬ টাকা কিলোদরে আলু বিক্রি করবেন পাইকারি বিক্রেতারা। কিন্তু খুচরো বিক্রেতারা কত দামে আলু বিক্রি করবেন আর সধারণ মানুষকে কত টাকা কিলো দরে আলু কিনতে হবে তা বলা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু খোলা বাজারে যত কম দামেই আলু বিক্রি করা হোক না কেন সেই দাম কখনই ৩০ টাকার নীচে হবে না। ৩০ টাকার বেশি হবে।
মঙ্গলবারই আলুর সংকট মেটানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষি মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদারকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আজ দুই পক্ষের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সরকারি তরফে জানান হয়, আলোচনা সদর্থক। সরকার পক্ষ সাড়া দিয়েছে। ব্যবসায়ীরাও কর্মবিরতি তুলে নিয়েছে। সরকার সব রকম সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সরকার এদিন সাধারণ মানুষের জন্য় সুফল বাংলা স্টল থেকে ২৬ টাকা কিলোদরে আলু বিক্রি করতে শুরু করেছে। রাজ্যে ৪৯৩টি সুফল বাংলা কাউন্টার খোলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, হিমঘর থেকে ২৬ টাকা কিলো দরে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত বৈঠকে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা কথা রাখলে রাজ্যবাসীকে তাঁরা ৩০ টাকার নিচেই আলু দিতে পারবেন। পাল্টা আলু ব্যবসায়ী দের তরফে বলা হয়েছে রাজ্য থেকে যে আলু বাইরে যায় সেই তফতানির বিষয়টিও যেন সরকার খেয়াল রাখে।