সংক্ষিপ্ত

জানা গেছে, উৎসবের সময় আরও ভালো খাবারের জন্য বন্দিরা নিয়মিত দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের এই দাবির প্রেক্ষিতেই এই বছর বিশেষ আয়োজন। 

পশ্চিমবঙ্গের সংশোধনাগারগুলির আবাসিকদের জন্য এই দুর্গাপূজায় থাকছে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা। ৯ অক্টোবর (ষষ্ঠী) থেকে ১২ অক্টোবর (দশমী) পর্যন্ত চলবে এই বিশেষ আয়োজন। এই সময়ে বন্দিরা পাবেন বিভিন্ন রকমের বাঙালি খাবার, যার মধ্যে রয়েছে মাটন বিরিয়ানি, বাসন্তী পোলাও ইত্যাদি। জানা গেছে, উৎসবের সময় আরও ভালো খাবারের জন্য বন্দিরা নিয়মিত দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের এই দাবির প্রেক্ষিতেই এই বছর বিশেষ আয়োজন। 

 

"আমরা বিশ্বাস করি এই পরিবর্তন তাদের জীবনে আনন্দ আনবে এবং এটি সংস্কারের দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ," বলেন আধিকারিক। কারাগারে যে সকল বন্দি রান্নার কাজ করেন, তারাই এই বিশেষ খাবার তৈরি করবেন। মেনুতে থাকছে মাছের মাথা দিয়ে পুঁই শাক, লুচি-ছোলার ডাল, চিকেন কষা, ঝিঙে আলু দিয়ে চিংড়ি এবং পায়েস। তবে সকলের ধর্মীয় আচরণ পালান করা হবে। যেসব বন্দি পুজোর অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে চান তারা করতে পারবেন। অন্যদিকে পুজোর দিনগুলিতে যারা নিরিমিষ খেতে চাইবেন তাদের  সম্মান জানিয়ে তেমনই ব্যবস্থা করা হবে। বন্দিরা তাদের পছন্দ মতো খাবার বেছে নিতে পারবেন।

রাজ্যের  ৫৯ টি সংশোধনাগারে  এই পরিবর্তন আনা হবে, যেখানে প্রায় ২৮,৭৭২ জন বন্দি আছেন। এই বন্দিদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, যারা বর্তমানে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি আছেন। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অন্যদিকে রেশনি ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বর্তমানে আরজি কর কাণ্ডে ধৃতরাও রয়েছে সংশোধনাগারে। যার মধ্যে রয়েছে সন্দীপ ঘোষ, সঞ্জয় রাই-সব আরও অনেকে।  চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনও রয়েছেন সংশোধনাগারে।  প্রত্যেক বন্দির জন্যই পুজোর দিনগুলিতে থাকছে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা।