সংক্ষিপ্ত
সামসেরগঞ্জে নদী ভাঙন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মুর্শিদাবাদের সরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে আবারও কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুক্রবার তিনি বলেন, ইডি বা সিবিআই-এর মত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বিজেপিকে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বা লোকসভা নির্বাচনে ভোট পেতে সাহায্য করবে না। তিনি আরও বলেন, এমন কোনও বিরোধী দল নেই যাকে বিজেপি হেনস্থা করেনি। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানান তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি ২০২৪ সালের নির্বাচনে সমস্ত বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিজেপি বিরোধী নেতাদের হয়রানি করার জন্য ইডি ও সিবিআইকে ব্যবহার করে। কিন্তু এজেন্সিগুলি একটিও বিজেপিকে ভোট পেতে সাহায্য করবে না।' মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়ই মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। এদিন নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারানোদের জমির দলিল তুলে দেন তিনি। সেখানেই তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,নদী ভাঙন মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলার একটা বড় সমস্যা। কিন্তু কেন্দ্রের কাছে বারবার দরবার করা সত্ত্বেও এই বিষয়ে কেন্দ্র উদাসীন। কোনও সাহায্য করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ভারত বাংলাদেশ জল বন্টন চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যকে ৭০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সেই টাকাও কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি বলেও অভিযোগ কপেন। নদী ভাঙন কেন্দ্রীয় বিষয়। একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে কোনও সাহায্য করেনি বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বিজেপি নেতৃত্বধীন কেন্দ্রীয় সরকার জনগণের স্বার্থে কাজ করার পরিবর্তে রাজনীতি করতেই ব্যস্ত। তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন নিয়ে বিজেপি যদি প্রকৃত চিন্তাভাবনা করত তাহলে এই রাজ্যে তাঁর সরকারও নদী ভাঙনের সঙ্গে আরও ভাল করে লড়াই করতে। কেন্দ্রের উদাসীনতার জন্য রাজ্যের মানুষ সমস্যা পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। মমতা বলেন নদী ভাঙন নিয়ে তিনি নীতি আয়োগের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। স্থায়ী সমাধান না হওয়ায় স্থানীয়দের নদীর তীর থেকে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে বাড়ি তৈরি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের সংস্থার খুবই সীমিত। তাও অসহায় মানুষের কথা ভেবে রাজ্য সরকার নদী ভাঙন সমস্যার জন্য ১০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই টাকা নদী ভাঙনে বাস্তুহারাদের সাহয্য়ের জন্য খরচ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিতে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া এবং তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষ শেখ হাসিনার মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এটি একটি ৩০ বছরের জল-বন্টন ব্যবস্থাকে অনুমোদন করেছে এবং একটি নিম্ন-স্তরের রিপারিয়ান হিসাবে বাংলাদেশের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।