সংক্ষিপ্ত
অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্যে বারবার উঠে আসছে কমলাকান্তের নাম, কে এই কমলাকান্ত? রহস্য ভেদ করতে লেগে পড়েছে ইডি।
গরুপাচার মামলার সঙ্গে বারবার জড়িয়ে যাচ্ছে বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলের নাম। এই রাইস মিলের অন্যতম কর্তা হিসাবে নাম রয়েছে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের। এবার সেই রাইস মিলের আর্থিক বিবরণ সংক্রান্ত বিষয়ে বিশদে জানতে ডাক পড়ল কমলকান্ত ঘোষ নামে জনৈক ব্যক্তির। ১১ নভেম্বর শুক্রবার এই ব্যক্তিকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
বীরভূমের কালিকাপুরে অবস্থিত ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিক সুকন্যা মণ্ডল। দিনকয়েক আগেই তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে বিস্তারিত জেরা করেছে ইডি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ওপরেও নজর রেখেছিলেন তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা। মনে করা হচ্ছে, জেরার মুখেই বেরিয়ে এসেছে কমলাকান্তের নাম। চালের মিলের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে এই কমলাকান্তকে। সূত্রের খবর, কমলাকান্ত ঘোষ পারিবারিক সম্পর্কে অনুব্রত মণ্ডলের প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের ভাই, অর্থাৎ ইনি আসলে তৃণমূল জেলা সভাপতির জামাইবাবু।
তদন্তকারীদের দাবি, কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের রেফারেন্সে নাম রয়েছে কমলাকান্ত ঘোষের। দেখা যাচ্ছে, সেই সমস্ত ব্যক্তিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত ফর্মও ফিল আপ করেছিলেন কমলাকান্ত নিজেই। ব্যাঙ্কের তথ্য সেই কথাই বলছে। এর আগে তদন্ত সাপেক্ষে কমলাকান্তের হাতের লেখার নমুনা খতিয়ে দেখেছিলেন অফিসাররা। ফিল আপ করা ফর্মের লেখার সঙ্গে একেবারেই মিলে গিয়েছে কমলাকান্তের হাতের লেখা।
ইডি সূত্র মারফৎ জানা গেছে, একাধিক ভুয়ো নাম নিয়ে তৈরি হয়েছে একের পর এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সেই অ্যাকাউন্টের ফর্মগুলি ফিল আপ করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের জামাইবাবু। কাদের নির্দেশ এবং পরিকল্পনায় বা কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি এই কাজ করেছিলেন, তা বিস্তারিত জানতে চান ইডি আধিকারিকরা। টাকার লেনেদেনে আর্থিকভাবে কমলাকান্ত কতটা লাভ করেছিলেন, বা তাঁর সূত্র ধরে অন্য কোনও ব্যক্তি লাভবান হয়েছিলেন কিনা এবং সেই লাভের অঙ্ক কতটা বিশাল ছিল, সেই তথ্য কমলাকান্তের নিজের বয়ান থেকেই জানতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা প্রথম থেকেই দাবি করেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে খুব বেশি টাকা না পাওয়া গেলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন উপায়ে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এবার টাকাকড়ির ক্ষেত্রে তাঁর জামাইবাবুর নাম উঠে আসায় সেই দাবি আরও জোরদার হল।
আরও পড়ুন-
মেটা থেকে ছাঁটাই হতে পারেন বিপুল সংখ্যক ভারতীয় কর্মীরাও, ‘আমিই দায়ী’, ভুল স্বীকার করলেন মার্ক জাকারবার্গ
এবার ১৮ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যেতে পারবেন জোকা থেকে তারাতলা, আপাতত নন এসি রেক নিয়েই মেট্রো চলার প্রস্তুতি শুরু
২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল আড়াই হাজার, ফের লকডাউনের পথে হাঁটছে চিন