সংক্ষিপ্ত

উপাচার্যদের কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সোমবার নতুন চিঠি এল রাজভবনের তরফে। আর এ বারও রাজভবনের নির্দেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

 

উপাচার্যদের কাজের হিসেব ইস্যুতে রাজ্য ও রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সাপ্তাহিক রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিলেন রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। তার পরও সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি বলে উপাচার্যদের চিঠি দিল রাজভবন। অন্যদিকে, রাজভবনের তরফে উপাচার্যদের কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ওই চিঠি রাজ্যের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছয়নি। এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয় হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

ফলে প্রশ্ন ওঠে, তবে কি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালকে সাপ্তাহিক কাজের হিসাব নিয়ম করে দিয়েছেন? এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এ বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। তিনি জেনে তবেই বলতে পারবেন।

এদিকে এই চিঠি ঘিরেই বেঁধেছে গন্ডগোল। উপাচার্যরা চিঠি পাওয়ার পরেই রাজ্য সরকার এবং রাজভবনের বিরোধ বাধে। শিক্ষা দফতর দাবি করে, তাঁদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে উপাচার্যদের। বিষয়টি আদৌ বৈধ কি না তা জানতে তারা আইনি পরামর্শ নেবে। অন্য দিকে, রাজভবনও চিঠি এবং নির্দেশিকা নিয়ে অনমনীয় মনোভাব দেখায়। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য-রাজভবন টানাপোড়েন শুরু হয়।

এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন ‘‘নতুন করে বলার কিছু নেই। এ তো আগের চিঠিরই পুনরাবৃত্তি। আগেই যা বলার বলেছি। এখনও বলছি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে, পরামর্শ করেই আমাদের কী করণীয়, তা ঠিক করা হবে। যা হচ্ছে তা আইন মোতাবেক হচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। আদালত এ ব্যাপারে আমাদের জানাবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’’

উল্লেখ্য উপাচার্যদের কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সোমবার নতুন চিঠি এল রাজভবনের তরফে। আর এ বারও রাজভবনের নির্দেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে উপাচার্যদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছে রাজভবন। ইমেল মারফত পাঠানো ওই চিঠিতে ছিল একটি নির্দেশিকা। যাতে বলা হয়েছিল, উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট রাজভবনে আচার্যের কাছে পাঠাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়েও রাজ্যপাল বোসের আগাম অনুমোদন নিতে হবে। এমনকি, উপাচার্যদের সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে তাঁর ইমেল এবং ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠিতে।