সংক্ষিপ্ত
নির্বাচনী আবহের মাঝেই আবারও উঠে এল সন্দেশখালি ইস্যু। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
নির্বাচনী আবহের মাঝেই আবারও উঠে এল সন্দেশখালি ইস্যু। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
প্রসঙ্গত, ভোটের আগেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিল সন্দেশখালি। তাঁর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যত রাস্তায় বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এলাকার মহিলা এবং স্থানীয় মানুষজন। আর এই সন্দেশখালি বিধানসভা হল বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত। এই লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন আগামী ১ জুন। ঠিক তার আগেই আদালতে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি অভিযোগ করেছে, জমি দখল করে প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শেখ শাহজাহান। পুরোপুরি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তিনি এই সম্পত্তির অধিকারী বলে জানিয়েছে তারা।
আদালতে শুনানির পর ইডির আইনজীবী জানান, ‘‘তদন্ত বেশ অনেকদিন ধরেই চলছে। প্রায় ৫৬ দিনের মাথায় এসে আজ চার্জশিট জমা দেওয়া হল। চারজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই জমি দখল এবং তোলাবাজির সাহায্য নিয়ে বিপুল সম্পত্তি বানানোর অভিযোগ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।”
চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আনুমানিক প্রায় ১৮০ বিঘা জমি জোর করে দখল করেছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তবে সেই পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু শাহজাহান একা নন। মোট ১১৩ পাতার সেই চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে তাঁর ভাই আলমগিরেরও। সেইসঙ্গে, শিবপ্রসাদ হাজরা, দিদার বক্স মোল্লার নামও উল্লেখ রয়েছে ইডির চার্জশিটে। অন্যদিকে, সাক্ষী হিসেবে সরকারী আধিকারিকদেরও বয়ান নেওয়া হয়েছে।
সন্দেশখালিতে অভিযান চালিয়ে সিবিআই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে। সেই কথাও চার্জশিটে লেখা আছে। গত ১৭ মে ইডি জানায়, শাহজাহানের ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ৫৫টি স্থাবর সম্পত্তিও উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। সবটাই হেফাজতে নেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
তবে শাহজাহান একা নন। আবদুল আলিম মোল্লা, শেখ আলমগির এবং শিবপ্রসাদ হাজরা সহ অন্যান্যদেরও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। ইডি জানিয়েছে, মোট ৩৮.৯০ বিঘা জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে, তারা মোট ২৬১ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।