সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার রাতে আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এই ঐতিহ্যবাহী বন বাংলোতে হঠাৎ আগুন লাগে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হোক বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডুভার্স বনে হলং ফরেস্ট বাংলো ছিল প্রথম পছন্দ। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই এই ঐতিহ্যবাহী বাংলো আগুনে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যায়। যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে, সেই সময়েই ঘটে এই দুর্ঘটনা। ঐতিহ্যবাহী হলং ব্যান বাংলো পুড়োপুড়ি পুড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এই ঐতিহ্যবাহী বন বাংলোতে হঠাৎ আগুন লাগে।
ঐতিহ্যবাহী হলং বনের বাংলোগুলো ঝলসে গিয়েছে, এই ঘটনায় হতাশ উত্তরবঙ্গ পর্যটন দফতর। উত্তরবঙ্গের বন বাংলো অর্থাৎ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এই বাংলো ছিল পর্যটকদের প্রথম পছন্দ। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুরও অন্যতম প্রিয় বন বাংলো ছিল এটি। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। কারণ এখনো জানা যায়নি।
আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তা অন্ধকারে পরিণত হয়। ১৬ জুন থেকে উত্তরবঙ্গের বনের অভ্যন্তরে সমস্ত জাতীয় উদ্যান এবং বন বাংলোতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ এই বাংলোতে কেউ ছিল কি না তা জানা যায়নি। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা জানার চেষ্টা করছেন বনকর্মী ও বনকর্মীরা। শর্ট সার্কিট নাকি অন্য কোনও কারণে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জেলা বন আধিকারিক প্রবীণ কাশওয়ান বলেন, হলং বাংলোতে আগুন লেগেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা উচিত। ঘটনার বিষয়ে ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, “আজ পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের জন্য একটি কালো দিন। আমাদের মাদারিহাটের সহ-সম্পাদক সঞ্জয় দাসের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি হলের বাংলো কীভাবে পুড়ে গেছে তা জানা যায়নি। রাজ্যের পাশাপাশি হলং ফরেস্ট বাংলোতে রাত্রিযাপনের চাহিদা বরাবরই পর্যটকদের প্রথম পছন্দ। ফলে এই বাংলো পুড়ে যাওয়া আমাদের জন্য বড় ক্ষতি। রাজ্যে বিখ্যাত এবং অভিজাত বাংলো তৈরি করা হয়। এর মধ্যে পর্যটকদের মধ্যে এই বাংলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি ছিল।