সংক্ষিপ্ত

কলাকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় কালবৈশাখীর দাপট। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে মৃত্যু চার জনের। ব্যাবহত যান চলাচল।

 

সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখীর দাপটে তীব্র দহনজ্বালা জুড়ালেও মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে তিন জনের। প্রবল ঝ়ড়ের কারণে একাধিক জায়গায় গাছ উপড়ে গেছে। শহরতলির ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কলকাতায়েও ব্যবহত হয়েছেস যান চলাচল। তবে সন্ধ্যার ঝড় বৃষ্টির কারণে দিনভরের ভ্যাপসা গরম কেটে গেছে। তাপমাত্রার পারদও এক ঝটকায় অনেকটা নিচে নেমে গেছে। আগামী কয়েক দিন ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বয়েছে।

হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেলে ঝড়ের সময় তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ১২ বছরের একটি মেয়ে মারা গেছে। উলুবেড়িয়ার আমশা গ্রামে ঝড়বৃষ্টির কারণে মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে বাহনানের উরফুলি গ্রামে গাছ উপড়ে চাপা পড়ে এক ৪০ বছর বয়সী মহিলার মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার মঙ্গলপাণ্ডে পার্কের গাছের তলায় বৃষ্টিতে আশ্রয় নিয়েছিল এক যুগল। ঝড়ের কারণে সেই গাছ উপড়েন প্রেমিকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রেমিকার চিকিৎসাধীন হাসপাতালে।

আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছেন কালবৈশাখী ঝড়টি মাত্র তিন মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৪ কিলোমিটার। বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে ঝড় উঠেছিল। কলকাতা ছাড়াও এই ঝড়ের দাপট দেখা গেছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, হাওড়া , নদিয়া ও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় ঝড়ের সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

অফিস টাইমে ঝড় ও বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হয় যান চলাচল। সমস্যায় পড়েন অফিস ফেরতারা। হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যবহত হয়। শত শত যাত্রী আটকে পড়েন। শিয়ালদয় শাখায় ট্রেনের গাছের ডাল পড়ে ওভারহেড তার ছিঁড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। শিয়ালদহ প্রধান সেকশনের শ্যামনগর এবং নৈহাটির মধ্যে এবং শিয়ালদহ দক্ষিণ সেকশনের বারুইপুর এবং লক্ষ্মীকান্তপুরের মধ্যে শহরতলির ট্রেন পরিষেবাগুলি প্রভাবিত হয়েছে। ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় বিবাদী বাগ স্টেশনেও। হাওড়া বিভাগে, চন্দননগরে গাছের ডাল পড়েছিল এবং কোন্নগরে ওভারহেড তারের ছিঁড়ে যায়। তেমন কোনও সমস্যা হয়নি হাওড়া-খড়গপুর শাখায়।

ঝড়ের কারণে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কাছে ময়দান এলাকায় এবং দক্ষিণ কলকাতার লেক গার্ডেন এলাকায় বেশ কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে, কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিপর্যয় মোকাবিলা গোষ্ঠীর কর্মীরা কাটা গাছগুলি সরাতে এবং রাস্তা পরিষ্কার করতে মোতায়েন করা হয়েছিল। কালবৈশাখীর কারণে আজ সন্ধ্যায় শহর ব্যাপক যানজট হয়। গাছ পড়ে কিছু রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।