সংক্ষিপ্ত
গুরুত্ব বুঝে বিভিন্ন দলের নেতাদের ওপর বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থার নির্দেশ দেয় কমিশন। ভোটের আগে ও ভোট চলাকালীন এই নিরাপত্তা কভার নানা হামলা থেকে বাঁচানোর জন্য দেওয়া হয় নেতাদের।
এখন থেকেই ভোটের উত্তাপ বাইরের গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বিতর্কিত কথা, বাগযুদ্ধ, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ভোটগ্রহণের ইতিহাস খুব একটা সুখকর নয়। বোমাবাজি, বিরোধী দলের ওপর আক্রমণ, হামলা, এসব বাংলার রাজনীতির অংশ। তবে প্রতিবারই কড়া থাকে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে গুরুত্ব বুঝে বিভিন্ন দলের নেতাদের ওপর বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থার নির্দেশ দেয় কমিশন। ভোটের আগে ও ভোট চলাকালীন এই নিরাপত্তা কভার নানা হামলা থেকে বাঁচানোর জন্য দেওয়া হয় নেতাদের।
রাজ্যে চার বিজেপি নেতার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে কেন্দ্র কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিং, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মণ এবং কোচবিহার কার্যনির্বাহী সদস্য তাপস দাসের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা কভারের ব্যবস্থা করেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই চার নেতাকে বিভিন্ন বিভাগে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ নিরাপত্তা দেবে।
এখানে জেনে রাখা ভালো যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং অর্জুন সিং গত মাসেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, আর অর্জুন সিংকে জেড ক্যাটাগরিতে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অভিজিৎ বর্মন ও তাপস দাসকে রাখা হয়েছে এক্স ক্যাটাগরির নিরাপত্তায়। উল্লেখ্য Z+ ক্যাটাগরি হল ৫৫ জন কর্মী, যার মধ্যে ১০+ NSG কমান্ডো এবং পুলিশ সদস্য রয়েছে । জেড ক্যাটাগরি হল ২২ জন কর্মী, যার মধ্যে ৪-৬ জন সিআরপিএফ বা সিআইএসএফ কমান্ডো এবং পুলিশ সদস্য রয়েছে। Y+ ক্যাটাগরি হল ২-৪ জন সিআরপিএফ বা সিআইএসএফ কমান্ডো এবং পুলিশ কর্মী সহ ১১ জন কর্মীদের নিরাপত্তার কভার।
জেনে রাখা ভালো যে পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং ৪ জুন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।