সংক্ষিপ্ত

দেশের অন্য রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তুলনায় এই রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

 

রাজ্য-রাজভবন সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা রাজ্য জুড়েই। নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজের সুসম্পর্ক তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আগমী দিনে নবান্নের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হবে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি আরও বলেছেন, অন্যান্য রাজ্যের রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে যে সম্পর্ক থাকে তার থেকে ভাল সম্পর্ক রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

দেশের অন্য রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তুলনায় এই রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এদিন রাজ ভবনের হলে সাংবাদিক দের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে তার সুসম্পর্ক কথা জানালেন। যদি ও তার দাবি তার কার্যকালের প্রথম বছর মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে খুবই মধুর ছিল। তবে দ্বিতীয় বছরে সম্পর্কে কিছুটা হলেও খারাপ হয়েছে। তাঁর মতে অনৈক্য তৈরি হয়েছিল । তবে তৃতীয় বছর রাজ্য সরকারের সঙ্গে এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক আকাশের মত পরিষ্কার থাকবে বলে আশাবাদী তিনি। যদিও তাঁর দাবি সাংবিধানিক ক্ষমতার অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী থেকে রিপোর্ট তলব করা তার এখতিয়ারে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী তাকে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দিতে বাধ্য।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দাবি করেছেন রাজ্যের হিংসা এবং দুর্নীতি একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বেলডাঙার ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন এই বিষয় সংবেদনশীল রয়েছে। জুনিয়র আধিকারিকরা এই বিষয় কে দেখছেন। তবে রাজ্যের প্রতেকটি ঘটনায় রাজ্যপালের নজর রয়েছে। তিনি তার কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে রাজ্যবাসীদের স্বার্থে কাজ করার তার লক্ষ্য। তিনি বলেন আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। পঞ্চায়ত নির্বাচনের সময় হিংসা রুখতে তিনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন বলে দাবি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। রাজ্যপাল হিসাবে তিনি রাজ্যের মানুষের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাদের কল্যাণের জন্য তিনি সব সময়ই তৎপর বলে জানালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে দায়িত্ব নিয়ে বাংলায় এসেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। এই রাজ্যে রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর কার্যকালের তিন বছর চলছে। রাজভবনের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। যারমধ্যে অন্যতম গল দুয়ারে রাজ্যপাল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।