সংক্ষিপ্ত
পূর্ববর্তী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক ক্রমে বিষিয়ে উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালকে রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালগুলির আচার্য পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিল পাশ করা হয় বিধানসভায়।
সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই কড়া বার্তা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নিয়োগের বিলে সই করবেন না রাজ্যপাল। শনিবারের বিবৃতিতে তা কার্যত স্পষ্টই বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যপাল। অতএব রাজ্যের ২৪ জন উপাচার্যের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা চলছে এই মুহূর্তে তারও কোনও নিষ্পত্তি নেই। উল্লেখ্য শনিবারই এই মর্মে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তারপরই শনিবারের বিবৃতিতে রাজ্যপাল স্পষ্ট জানিয়ে দেন যেমন চলছে তেমনই চলবে। যে ভাবে রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে তা আইনসঙ্গত হয়নি, আইনের পথে বিষয়টির দ্রুত মীমাংসা চাইছেন রাজ্যপাল।
পূর্ববর্তী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক ক্রমে বিষিয়ে উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালকে রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালগুলির আচার্য পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিল পাশ করা হয় বিধানসভায়। সেই বিল রাজ্যপালের সই-এর অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু শনিবারের বিবৃতির পর স্পষ্টই বোঝা যায় যে এই বিল পাশের বিশেষ আশা নেই। উল্লেখ্য রাজ্যের ২৪ জন উপাচার্যের নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক নিয়েও এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্যদের কাজ চালানোর কোনও যোগ্যতা নেই। তাই আইনের আলোয় বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, অবিলম্বে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যদের পদ থেকে সরানো হোক। রাজ্যপাল ডঃ সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মণ্ডলের। শনিবার এই বিষয় রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে অবনমনের হাত থেকে বাঁচান। তিনি উল্লেখ করেন,'এই রাজ্য যা স্বামী বিবেকানন্দের জায়গা, যেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মেছেন, যেখানে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জন্মেছেন। যেখানে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস, স্যার আশুতোশ মুখোপাধ্যায়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের মতো ব্যক্তিত্বরা জন্মেছেন। যারা বাংলায় রেনেসাস নিয়ে এসেছিল। সারা দেশের মধ্যে বাংলা ছিল শিক্ষা, সাহিত্য ও বিজ্ঞানচর্চার জন্য অন্যতম পরিচিত স্থান। সেই জায়গা থেকে আজ বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা ক্রমেই অবনমের পথে। রাজ্য সরকারের দুর্নীতি এবং শিক্ষাকেন্দ্রের মানের ইচ্ছাকৃত অবনতিই এর কারণ।' এর পরই সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ্য করেন রাজ্য সরকারের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কথা। গত কয়েকমাসে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীর কাজ হারানোর কথা। অবশেষে তিনি রাজ্যপালের কাছে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যায়ে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যদের পদ থেকে অবিলম্বে সরানোর আর্জিও জানিয়েছেন। পাশাপাশি উপাচার্য হিসেবে তাঁর নিয়োগকে বেআইনি বলেও উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন -
কলকাতার আশেপাশে অল্প সময়ের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? দেখে নিন লোধা-শবর-কুড়মিদের 'খোয়াব গাঁ'
অনুব্রতর গড়ে গিয়ে পাল্টা মার দেওয়ার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, চড়া সুরে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেল ৩১ ডিগ্রি, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র আগেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস কলকাতাবাসীর