সংক্ষিপ্ত

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মনুখোপাধ্যায়ের তরফে জানান হয়েছে জনগণের স্বার্থে এই মন্তব্য করেছিলেন।

 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে করা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের করা মানহানি মামলার শুনানি আজ, শুক্রবার। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলায় এবার নয়া মোড়। কারণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সহ চার জনের কাছ থেকে মানহানি করার জন্য ১১ কোটি টাকা দাবি করেন। পাশাপাশি কোর্টফি বাবদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দায়ের করা মানহানি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা যদি হেরে যান বা রাজ্যপালের সম্মানহানি হয়েছে এটা প্রমাণিত হলে তাঁদের সাড়ে ১১ কোটি টাকা গুণতে হবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, রাজ্যপালের মানহানি করা হয়েছে এমন কোনও তথ্য প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পেশ করা হয়নি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মনুখোপাধ্যায়ের তরফে জানান হয়েছে জনগণের স্বার্থে এই মন্তব্য করেছিলেন। রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে তাঁর করা কোনও মন্তব্যই মানহানিকর নয়। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে মানহানি হয়েছে এমন কিছুই পাওয়া যায়নি। সিঙ্গেলবেঞ্চ এই বিষয়টি খতিয়ে না দেখেই অন্তবর্তী নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, রাজ্যপালের মানহানি হয় এমন কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। তারপরই মামলা গড়িয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ পর্যন্ত। ইকোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যায় না। সোশ্য়াল মিডিয়া প্লাটফর্মের সুযোগ নিয়ে এটা করা যায় না।

হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল একটা প্রাথমিক মামলা করেছিলেন। যদি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া না হয়, অপর পক্ষকে যদি এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য বলার সুযোগ দেওয়া হয় তবে তিনি অপূরণীয় ক্ষতি ও আঘাতের মুখোমুখি হবেন।

বরানগর ও ভগবানগোলা উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল প্রার্থীর শপথকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজভবনে যা চলছে মেয়েরা শপথ নিতে যেতে ভয় পাচ্ছে। রাজ্যপাল কেন বিধানসভায় এসে শপথ নেওয়াবেন না? কেন স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন না? এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রাজ্যপাল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।