সংক্ষিপ্ত

রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সময় মতো মিড ডে মিলের হিসেব জমা দিতে হবে। হিসেব দিতে দেরি হলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধান শিক্ষকদের মাইনে থেকে টাকা কেটে মিড ডে মিলের খরচ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন এক বিডিও।

মিডডে মিল (Mid Day Meal) নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার (West Bengal)। যা নিয়ে চাপ বাড়ছে রাজ্যের শিক্ষকদের (Teacher)  মধ্যে, বিশেষ করে প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে। যা নিয়ে রীতিমত ঘুম উড়তে শুরু করেছে প্রধান শিক্ষকদের। এমনিতেই রাজ্যে মিড ডে মিল একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কখনও সময় মত মিড ডে মিল দেওয়া হয় না, কখনও আবার মিড ডে মিলের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই অবস্থায় নতুন নির্দেশিকায় রীতিমত সমস্যায় পড়তে চলেছেন শিক্ষকা।

মিড মিল সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকাঃ

মিড ডে মিল নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সময় মতো হিসেব না দেওয়ায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গরমের ছুটি থাকুক আর যাই থাকুক, সময় মতো মিড ডে মিলের হিসেব দিতে হবে। আর না দিলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই হিসেব না দেওয়ায় বিডিওর কোপের মুখে পড়েছে বহু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এবার বিডিরও পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সময় মত হিসেব না দিবে প্রধান শিক্ষকদের নিজের মাইনে থেকে টাকা মেটাতে হবে।

সম্প্রতি হরিশচন্দ্রপুর ২ নং ব্লকে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এখানকার ২০টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিডিওর তরফ থেকে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আসলে বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর কারণে ছুটি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে রিপোর্ট পাঠাতে দেরি হয়ে যায় বেশ কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষের। এরপরেই চিঠি পাঠান বিডিও।

আর সেই কারণেই গত শনিবা বিডিও তাপস পাস বিদ্যালয়গুলিকে একটি নতুন নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসের ১ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে ব্লক মিড ডে মিল সেকশনে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া আছে বিদ্যালয়গুলিতে। বারবার বলা সত্ত্বেও ওই ২০টি বিদ্যালয় এই মাসের ৯ তারিখ অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও রিপোর্ট জমা করেনি’।

বিডিও আরও বলেছেন, সময় মত রিপোর্ট জমা না করায় ব্লকের মিড ডে মিল পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। সেই কারণেই এই নির্দেশ পাঠান হয়েছে। যদিও অনেকেই বলছেন, বিডিও মিড ডে মিল নিয়ে নির্দেশিকা পাঠাতে পারেন না। তাই প্রধান শিক্ষক যদি আদালতে যান তাহলে নির্দেশিকা প্রত্যাহার করেত বাধ্য হবেন তাপস পাল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।