সংক্ষিপ্ত
এই অতি জাগ্রত সতী পীঠে গেলে এক মাসের মধ্যেই সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে যায় বলে বিশ্বাস করেন ভক্তরা।
বাংলার শক্তি পিঠের মধ্যে অন্যতম হল, তারাপীঠ। তবে তারাপীঠ ছাড়াও বেশ কয়েকটি সতীপীঠ রয়েছে বঙ্গে। পুরানে বর্ণিত আছে দেবাদিদেব মহাদেবের মহাপ্রলয় নৃত্যের সময় সতীর দেহ খন্ড-বিখন্ড করেছিলেন ভগবান বিষ্ণু। এরপর সেই দেহের বিভিন্ন খন্ড পতিত হয়েছিল পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে। সেখান থেকেই তৈরি হয় সতীপীঠ।
আমাদের বাংলায় রয়েছে এমনই এক জাগ্রত সতী পীঠ যেখানে গেলে এক মাসের মধ্যেই সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে যায় বলে বিশ্বাস করেন ভক্তরা।
যেকোনও দুরারোগ্য ব্যাধি সেরে যায় ওই মন্দিরে গেলেই। ৫১ তম সতী পিঠের মধ্যে এটি হল ৪৫ তম সতীপীঠ। এই সতী পিঠের নাম জুরানপুর কালীবাড়ি।
এখানে দেবী সতীর মাথা বা করোটির কয়েকটি অংশ পড়েছিল। ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত এই জুরানপুর। এখানে দেবী দুর্গাকে জয় দুর্গা রূপে চিহ্নিত করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, এই সতী পীঠ রক্ষা করছেন স্বয়ং ক্রধিত ভৈরব। বহু প্রাচীন এক বটবৃক্ষের তলায় এখানে দেবী পূজিতা হন।
রামকৃষ্ণ পরমহংস বামাক্ষ্যাপা কুনদানন্দ ব্রহ্মচারী এখানে এসে সাধনা করে গিয়েছেন। ভক্তরা এখানে ছুটে এসে তাদের মনস্কামনা জানালে এক মাসের মধ্যেই তা পূর্ণ হয়। এখানে রয়েছে একটি সুড়ঙ্গ। যে সুড়ঙ্গ চলে গিয়েছে গঙ্গা পর্যন্ত।
দুর্গা পুজো কালীপুজো রটন্তী কালীপুজো মহা ধুমধাম করে এখানে পালিত হয়। প্রতিবছর মাঘ মাসের পূর্ণিমায় এখানে বিরাট মেলা বসে। তিন দিনব্যাপী এই মেলায় হাজার হাজার ভক্তের সমাধান হয়।
সকাল দশটা থেকে পুজো শুরু হয়। কিভাবে যাবেন এই মন্দিরে শিয়ালদহ বহরমপুর ট্রেনে এসে দেবগ্রাম স্টেশনে নামতে হবে। এরপর টোটো কিংবা বাসে চেপে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে আসা যায় জুরানপুর কালীবাড়িতে।