সংক্ষিপ্ত
কয়েকদিন আগেই শান্তিনিকেতনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ চেয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তারপরই স্টপেজ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসে।
উদ্বোধনের আগের দিনই বন্দে ভাত এক্সপ্রেসের স্টপেজ সংখ্যা বাড়াল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবারই প্রকাশিত হল হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চূড়ান্ত সূচিও। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে হাওরা ও নিউ জলপাইগুড়ির মাঝে মোট তিনটি স্টেশনে থামবে ট্রেন। প্রথমে বলা হয়েছিল শুধুমাত্র মালদা টাউন স্টেশনে ট্রেনটি থামবে। পরে উদ্বোধনের ঠিক একদিন আগে রেলের তরফে জানানো হয় মালদা ছাড়াও বোলপুর ও বারসোই স্টেশনে দাঁড়াবে দ্রুততম এই ট্রেন। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই শান্তিনিকেতনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ চেয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তারপরই স্টপেজ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসে। বৃহস্পতিবারই হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পরিবর্তীত ও চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করা হয়।
নতুন সূচি অনুযায়ী হাওড়া থেকে ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে ছাড়বে আপ হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছবে। আবার নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বিকেল ৩ টে ৫ মিনিটে ছেড়ে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে হাওড়া ঢুকবে এই ট্রেন। পুরনো সূচি বলা হয়েছিল, আপ ২২৩০১ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হাওরা থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ পৌঁছবে গন্তব্য স্টেশনে। আবার ফেরার সময় ডাউন ২২৩০২ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দুপুর ২টো ৫০ মিনিটে ছেড়ে রাত ১০টা ২০ মিনিটে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছবে। মাত্র সাড়ে সাত ঘন্টায় সাউথ বেঙ্গলের সঙ্গে নর্থ বেঙ্গলকে জুড়বে দ্রুতগামী এই ট্রেন। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির দূরত্ব রেলপথে ৫৫৬ কিলোমিটার। বন্দে ভারত এই এক্সপ্রেস এই দূরত্ব অতিক্রম করবে মাত্র সাড়ে সাত ঘন্টায়। উল্লেখ্য হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার সবচেয়ে দ্রুততম ট্রেন শতাব্দী এক্সপ্রেসেরও সময় লাগে ৮ ঘন্টা ২০ মিনিট।
দেশের দ্রুততম এই ট্রেনের গতিবেগ খাতায় কলমে ১৮০ কিলোমিটার হলেও লাইনের স্বাস্থ্য-সহ একাদিক কারণে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে সর্বাধিক গতিবেগ থাকবে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই গতিবেগ ১০০ কিলোমিটারেও নামতে পারে বলে রেল সূত্রে জানানো হচ্ছে। হাওড়া থেকে ছাড়ার পর ডানকুনি থেকে খানা জংশনের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তাঁর সর্বাধিক গতিতে থাকবে, ১৩০ কিলোমিটার। কিন্তু তাঁর পর থেকেই কমতে থাকবে ট্রেনের গতি। যাত্রাপথের কিছু অংশে ট্রেনের গতিবেগ ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটারেও নেমে আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ট্রেনের মধ্যেই থাকছে খাবার ও জলের ব্যবস্থা। আপ ট্রেনে প্রাতরাশ ও দুপুরের খাওয়ার দেওয়া হবে যাত্রীদের। সঙ্গে থাকবে চা ও কফি। ডাউন ট্রেনে সন্ধ্যার জল খাবার, চা, কফির পাশাপাশি থাকবে রাতের খাবারের ব্যবস্থাও। এই ট্রেনের কামরা ও ইঞ্জিনের ধরনও অন্যান্য ট্রেনের থেকে আলাদা হবে বলে জানাচ্ছে রেল। ভিস্তা ডোমের কামরার সঙ্গে মিল থাকলেও ভিস্তা ডোম এক্সপ্রেসের মতো কামরার মাথায় কাচের আবরণ নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্র্যাল কোচ ফ্যাক্টরি ডিজাইন করেছে এই ট্রেনের কামরাগুলি। এছাড়া কামরায় থাকছে অত্যাধুনিক স্লাইডিং ডোর, অটো লক সিস্টেম সমেত।
আরও পড়ুন -
বন্দে ভারত থেকে জোকা মেট্রো- শুক্রবার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
কত রাখা হতে পারে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়া?