সংক্ষিপ্ত
তিনি অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে তিনি তাঁর অন্য আর এক প্রাক্তন বান্ধবের উপর নজরদারি চালাতেন।
প্রাক্তন বান্ধবীর দিকে ফের তির ছুড়লেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। তিনি অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে তিনি তাঁর অন্য আর এক প্রাক্তন বান্ধবের উপর নজরদারি চালাতেন।
জমা পড়া অভিযোগ অনুসারে, মহুয়া নাকি তাঁর প্রাক্তন বান্ধবের কল ডিটেল রেকর্ডস (সিডিআর) বেআইনি ভাবে হস্তগত করেছিলেন। কারণ, মহুয়ার সন্দেহ ছিল, তাঁর প্রাক্তন বান্ধবের সঙ্গে এক জার্মান মহিলার প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ওই মহিলা একটি বহুজাতিক সমাজমাধ্যমে উচ্চপদে কর্মরত বলেও দাবি করেন দেহাদ্রাই। এদিকে সিডিআর বলে দাবি করে একটি তালিকা, কিছু চ্যাটের স্ক্রিনশট জুড়ে যে অভিযোগ পত্র জমা করেছেন, তাতে লেখা- আমি জেনে হতচকিত হয়ে যাই যে, মহুয়া বাংলার প্রবীণ পুলিশ আধিকারিকদের সহায়তা নিয়ে তাঁর প্রাক্তন বান্ধবের যাবতীয় সিডিআর করায়ত্ত করেছেন, যেখানে প্রাক্তন বান্ধবের সঙ্গে কারা কারা যোগাযোগে ছিলেন, তার সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে। এছাড়াও সারাদিন ধরে প্রাক্তন বান্ধবের ফোনের অবস্থানও ছিল তাঁর কাছে।
সেই অভিযোগে আরও দাবি করা হয়েছে, গোটা ঘটনার অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি মহুয়ার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তখন জবাব এসেছিল, সংসদের সদস্য হিসেবে কিছু বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী তিনি।
এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দাবি করেন, ‘এমন বিশ্বাস করার দৃঢ় কারণ রয়েছে। মহুয়া নিজের পরিচিতি ব্যবহার করে বাংলার পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দিয়ে তাঁর ওপর বেআইনি নজরদারি চালাচ্ছেন।’
সে যাই হোক, নয়া বিতর্ক মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। বাংলার পুলিশকে ব্যবহার করতে তিনি বলে উঠল অভিযোগ। তাঁর প্রাক্তন বান্ধবের কল ডিটেল রেকর্ডস (সিডিআর) বেআইনি ভাবে হস্তগত করেছিলেন তিনি।