সংক্ষিপ্ত

জয়নগরে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছে গেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কথা বললেন পরিবারের সঙ্গে।

জয়নগরে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছে গেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কথা বললেন পরিবারের সঙ্গে।

একদিকে চলছে অবস্থান। আর অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তাররা এবার পৌঁছে গেলেন জয়নগর। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ৮.৩০ মিনিটে তারা ঘোষণা করে দেন, সরকারকে তারা ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা দেবেন। যদি তার মধ্যে ১০ দফা দাবি মানা না হয়, তাহলে তারা আমরণ অনশন শুরু করবেন। যদিও পুলিশের তরফ থেকে তাদের সেই অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এমনকি, জুনিয়র ডাক্তারদের উপর আক্রমণ এবং ডেকরেটর্সের লোকেদেরও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এরপর শনিবার, রাত ৮.৩০ মিনিটের মধ্যেও সরকারের তরফ থেকে কোনও সদুত্তর না মেলায় তারা অনশন শুরু করেন। সেইসঙ্গে, চলছে লাগাতার অবস্থান।

আর রবিবার, সেই অনশন মঞ্চ থেকেই তারা ঘোষণা করে দিলেন জয়নগর যাওয়ার কথা। প্রথম দিন থেকেই জুনিয়র ডাক্তাররা বলে আসছেন, এই আন্দোলন সাধারণ মানুষেরও আন্দোলন। আর জয়নগরে একটি সাধারণ পরিবারের ছোট্ট ৯ বছরের শিশুর সঙ্গে যে পাশবিক ঘটনা ঘটেছে, তারপরই তাদের এই সিদ্ধান্ত।

সেই শিশুটিকেও ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই কুলতলী গ্রাম রীতিমতো উত্তপ্ত। জনগণের তাড়া খেয়েছেন এলাকার তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়ক। পুলিশের উপরেও চড়াও হন গ্রামবাসীরা। আর এবার সেই জয়নগরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।

মাত্র ৯ বছরের শিশুকে খুনের অভিযোগে শনিবার দিনভর রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল জয়নগরের মহিষমারি এলাকা। রবিবার, সেখানেই গেলেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদল। কিঞ্জল নন্দ এবং দেবাশিস হালদার ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন সেই দলে।

নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তারা। সেইসঙ্গে, তাদের এই লড়াইয়ের পাশেও যে তারাও আছেন, সেই বার্তাও দিয়ে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জানা যাচ্ছে, বেশ দীর্ঘক্ষণ তাদের মধ্যে কথোপকথন হয়। অপরদিকে, ধর্মতলায় অনশনের ২৪ ঘণ্টা পার। এখনও সরকারের তরফ থেকে কোনও উত্তর আসেনি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।