সংক্ষিপ্ত

জ্যোতি বসুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ধর্ম নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের ছুঁতমার্গ ঘোচাতে সেলিম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা জ্যোতি বসুরই উদাহরণ তুলে ধরেন।

 

সিপিএম-এর অন্দরে ধর্মের কাঁটা। কোন দিকে যাবে তা নিয়ে রীতিমত বিভ্রান্ত দলের নেতা থেকে শুরু করে কর্মীরা। এই অবস্থায় ধর্ম নিয়ে ছুঁতমার্গ দূর করতেই জ্যোতি বসুর জন্মদিনকেই বেছে নিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। জ্যোতি বসুর ১১১ তম জন্মদিন আজ। নিউ টাউনের নব নির্মীয়মাণ জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ এর প্রাঙ্গনেই জ্যোতি বসুর জন্ম দিন উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

 

জ্যোতি বসুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ধর্ম নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের ছুঁতমার্গ ঘোচাতে সেলিম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা জ্যোতি বসুরই উদাহরণ তুলে ধরেন। সেলিম বলেন, 'জ্যোতিবাবুর বাবা-মা ছিলেন ধার্মিক। তাঁর বাবা লোকনাথ ভক্ত ছিলেন। জ্যোতিবাবু বহুবার গল্প করেছেন। তিনি নিজে ধর্ম না মানলেও প্রসাদ খেতেন।' তারপরই সেলিম বলেন আমাদের অনেকেই ধর্ম নিয়ে উন্নাসিকতা দেখায়। কেউ কেউ আছে যারা মোদীর মত ষাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে। আবার কেউ ওসবের মধ্যে থাকে না। জ্যোতি বসুর জীবন থেকেই এই শিক্ষাই নিতে হবে- নির্লিপ্ততা থাকবে। একই সম্পৃক্ততাও থাকবে।

জ্যোতি বসুর জন্মদিনে তাঁরই জীবন থেকে সিপিএম নেতা কর্মীদের শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দেন মহম্মদ সেলিম। যদিও সেলিমের মন্তব্যের কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, সিপিএম- দুর্গা পুজোর মণ্ডপ থেকে দূর্ মার্ক্সবাদী সাহিত্যের স্টল দিত। কিন্তু মণ্ডপে যেত না। এখন আবার স্টল দিচ্ছে আর আরতি করছে। দিশাহীন রাজনীতির প্রলাপ এটা!

একের পর এক নির্বাচনে সিপিএম-এর রক্তক্ষরণ অব্য়াহত রয়েছে। এবার তরুণ মুখ এনে কামাল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতেও শূন্যই থেকে গেছে। এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে আবারও মরিয়া চেষ্টা করছে সিপিএম।