- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কতটা দায় মালগাড়ির চালকের? ছবিতে দেখুন কী বলছে তথ্য
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কতটা দায় মালগাড়ির চালকের? ছবিতে দেখুন কী বলছে তথ্য
- FB
- TW
- Linkdin
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা
শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারে পিছন থেকে আসা একটি মালগাড়ি। স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল অকেজো ছিল। ম্যানুয়ালি চলছিল ট্রেন।
দায় যাচ্ছে মালগাড়ির চালকের ওপর
দুর্ঘটনার পরই মালগাড়ির চালকের ওপর দায় চাপানোর শুরু হয়েছে। রেলের একটা বড় অংশের দাবি মালগাড়ির চালক সিগন্যাল ভেঙে ছিলেন। তাতেই এই বিপদ। যদিও দুর্ঘটনার কারণে মালগাড়ির চালক ঘনটাস্থলেই মারা গেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মত
রেলের দাবি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মত রেলের একাংশের দাবি সঠিক নয়। সিগন্যাল ছিল অকেজো। কিন্তু মালগাড়ির চালকের কাছে ছিল লিখিত নির্দেশ ছিল। একই নির্দেশ ছিল মালগাড়ির গার্ডের কাছেও।
রেলের নির্দেশ
রেল সূত্রে জানা গেছে কোনও কোনও সিগন্যাল লাল থাকলেও মালগাড়ির চালক ট্রেন না থামিয়ে চালিয়ে নিয়ে যাবে তার নির্দেশ ছিল। একই জাতীয় নির্দেশ ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘার চালকের কাছেও।
সিগন্যাল খারাপ
রেল সূত্রে জানা গেছে সোমবার ভোর পাঁচটা থেকেই স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল খারাপ ছিল। এই পরিস্থিতিতে ট্রেন চালানোর জন্য জরুরি ছিল পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট। যা দুটি ট্রেনের চালক ও গার্ডকে দেওয়া হয়েছিল।
পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট-
সিগন্যাল খারাপ হওয়ার জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালককে রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার টিএ ৯১২ ফর্ম দিয়েছিল। এটির মাধ্য়মেই স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল খারাপ হলে ট্রেন চলাচলের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে এই ফর্মের শর্তই হল ধীর গতিতে ট্রেন চালান। ট্রেনের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি হবে না। কাঞ্চনগঙ্ঘা এক্সপ্রেস খুব ধীর গতিতে চলছিল।
পিছনে মালগাড়ি-
রেল সূত্রের খবর একই ভাবে পিছনে আসা মালগাড়িতে টিএ ৯১২ ফর্ম দেওয়া হয়েছিল রাঙাপানি স্টেশন থেকে। দুটি ট্রেনের মধ্যে ১৫ মিনিটের ব্যবধান ছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানি স্টেশন ছাড়ে সকাল ৮টা ২৭ মিনিটে। আর মালগাড়ি ওই একই স্টেশন ছাড়ে সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে। কিন্তু তারপরেও ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তীব্র গতিতে আসা মালগাড়ি ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। পিছনের তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশ্নের উত্তর নেই
প্রশ্ন টিএ ৯১২ ফর্ম মালগাড়ির চালককে দেওয়া হলেও কী করে মালগাড়ির গতিবেগ বেশি ছিল। মালগাড়ি কী করে দ্রুত এগিয়ে যায়। আদৌকি মালগাড়ির চালকে পেপার ক্লিয়ার দেওয়া হয়েছিল- তদন্তের পরই এর উত্তর পাওয়া যেতে পারে।
৯টি সিগন্যাল ভাঙার অনুমতি
রেল সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রাঙাপানি চটেরহাট পর্যন্ত ৯টি সিগন্যাল ভাঙার অনুমতি ছিল দুটি ট্রেনের চালক গার্ডের কাছে।
লেভেল ক্রসিংএ নজর
নির্দেশে বলা হয়েছিল চাকদের অবশ্যই নজর রাখতে হবে যাত্রাপথে পড়া লেভেল ক্রসিংএর গেটের ওপর। গেট বন্ধ থাকলে চলবে ট্রেন।