সংক্ষিপ্ত
ই-পরিষেবা চালু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাজের পদ্ধতি বদলে গিয়েছে। বেশিরভাগ সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য এখন ঘরে বসেই আবেদন করা যায়।
একটা সময় ছিল যখন ড্রাইভিং লাইসেন্স জোগাড় করার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হত। কিন্তু সেই দিন আর নেই। এখন সরকারি পরিষেবা পাওয়ার পদ্ধতি বদলে গিয়েছে। ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাচ্ছে। আবেদনের পদ্ধতিও অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য নথি হাতের কাছে থাকলেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন জানানো যাচ্ছে। নথি যাচাই করা এবং গাড়ি, স্কুটার বা মোটরবাইক চালানোর যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার জন্য অবশ্য আরটিও-তে যেতে হচ্ছে। তবে লার্নার লাইসেন্সের পরীক্ষা ঘরে বসেই দেওয়া যায়। ফলে অনেকটা সময় ও পরিশ্রম বেঁচে যাচ্ছে।
জেনে নিন ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতি
ভারতের সব রাজ্যেই ১৮ বছর বয়স হলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করা যেতে পারে। রাজ্যগুলিতে নিয়মের হেরফের খুব একটা দেখা যায় না। তবে কোনও রাজ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া খুব সহজ, আবার কোনও রাজ্যে পদ্ধতিগত জটিলতা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে নিয়ম হল, আধার, ভোটার আইডি, প্যান কার্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি-সহ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়। এই আবেদন করা যায় অনলাইনে। ফলে আবেদন করার সময় যাবতীয় নথি হাতের কাছে রাখতে হবে। 'পরিবহণ সেবা' অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে লার্নার লাইসেন্সের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় বেছে নিতে হবে। আরটিও-তে গিয়ে বা ঘরে বসে লার্নার লাইসেন্সের পরীক্ষা দেওয়া যেতে পারে। লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার ৩০ দিন পর মূল লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যেতে পারে।
লার্নার লাইসেন্সের নিয়ম
লার্নার লাইসেন্স ৬ মাসের জন্য বৈধ থাকে। এই লাইসেন্স নিয়ে বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটারের মধ্যে যাতায়াত করা যেতে পারে। তবে যাঁর নামে লার্নার লাইসেন্স রয়েছে, তাঁর পিছনের আসনে সবসময় এমন একজনকে রাখতে হবে যাঁর বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে জরিমানা হতে পারে। বাইক বা স্কুটার চালানোর সময় হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা
মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য বাইক, স্কুটার বা গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়। বিশেষ করে সিগন্যালের বিষয়ে জ্ঞান থাকা দরকার। পরীক্ষার সময় সিগন্যালের উপরেই জোর দেন পরীক্ষক। বাইক বা স্কুটার চালানোর সময় মাটিতে পা পড়া চলবে না এবং নির্দিষ্ট পথ দিয়েই যেতে হবে। তাহলেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যাবে। এরপর বাড়িতে এসে যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স। ১০ বছর মেয়াদ এই ড্রাইভিং লাইসেন্সের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে। জয়েন করুন- https://www.whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D
আরও পড়ুন-
পুজোয় রেকর্ড মদ বিক্রি পশ্চিমবঙ্গে, জেলাতেই বিক্রি হল প্রায় ৩০ কোটি মূল্যের মদ