সংক্ষিপ্ত

বিতর্কের আবহেই সুজনের পরিবারের কারা কোথায় চাকরি পেয়েছেন, সেই সংক্রান্ত একটি তালিকা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি। এই তালিকা প্রকাশ্যে আসায় নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

দুর্নীতি প্রসঙ্গে বাম-তৃণমূল দড়ি টানাটানির মধ্যেই উঠে এল নতুন তত্ত্ব। সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরির পর এবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের নিশানায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজনের পরিবারের ১৩ জনের চাকরি। এর আগেই সুজন জায়ার চাকরি কতটা নিয়ম মেনে হয়েছিল সে বিষয় আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। যদিও শাসক দলের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি। এবার একটি নতুন তালিকা প্রকাশ করলেন কুণাল ঘোষ। বিতর্কের আবহেই সুজনের পরিবারের কারা কোথায় চাকরি পেয়েছেন, সেই সংক্রান্ত একটি তালিকা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি। এই তালিকা প্রকাশ্যে আসায় নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

সুজন চক্রবর্তীর পরিবারের ১৩ জনের চাকরির বৃত্তান্ত সামনে এনে কুণাল টুইটারে লিখেছেন 'সুজন’দা তালিকা কি ঠিক?' পাশাপাশি তদন্তের দাবিও করেছেন কুণাল ঘোষ। যদিও এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী একটি বিশিষ্ট সংবাদ সংস্থাকে স্পষ্টই জানিয়েছেন তিনি কোনও জবাব দেবেন না। বরং উলটে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

 

 

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন বাম আমলে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। তার প্রমাণ খুঁজে বার করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারই কড়া জবাব দিয়েছিলেন সিপিআই (এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'এটা পরিহাস কিনা আমি বলতে পারব না। এটা পরিহাস বলেই মনে হচ্ছে। ' তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে তৃণমূল জমানায় যে দুর্নীতি হয়েছে তা থেকে জনগণের নজর ঘোরাতেই ব্রাত্য বসু সিপিআই(এম)কে টার্গেট করেছেন ব্রাত্য বসু। কারণ সামনে আসছে তৃণমূল নেতাদের টাকা নিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া ঘটনা। পাশাপাশি তিনি বলেন আজও ২০১২ সালে অয়ন শীলের কাছে টাকাও দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। যারা টাকা দিয়েছেন তাঁরা বলেছেন ২০১২ সালে তারা নিয়োগের জন্য টাকা দিয়েছেন। কিন্তু সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ব্রাত্য বসু। তিনি আরও বলেন, ব্রাত্য বসু নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়েক কাঁধেই দায়িত্ব তুলে দেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন তৃণমূল সংগঠিত অপরাধ করে। তাই মন্ত্রী খোঁজার প্রয়োজন নেই।