সংক্ষিপ্ত
শনিবার বীরভূমে নির্বাচনী সভায় ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায় বেশ চিন্তায় রাজ্যের গৃহবধূরা।
রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ মনে করেন, তৃণমূল তৃতীয়বারের জন্য সরকারের প্রত্যাবর্তনের পিছনে যার সবচেয়ে বড় যে ভূমিকা রয়েছে সেটি হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্প যেমন ২০২১ সালে বিপুল সংখ্যক ভোট এনে দেয় তৃণমূলের ঝুলিতে, ঠিক সেই রকমই ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও এই প্রকল্পকেই হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
এখন রাজ্যের মহিলাদের টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের টাকা ৫০০ থেকে করা হয়েছে ১০০০। অন্যদিকে তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের ১০০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা। তবে শনিবার বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে দুবরাজপুরের খয়রাশোল ব্লকে গোষ্ঠ ডাঙাল মাঠের নির্বাচনী সভায় ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায় বেশ চিন্তায় রাজ্যের গৃহবধূরা।
বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্য সরকারের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। তৃণমূলের অভিযোগ একের পর এক মিথ্যা কথা বলে চলেছে বিজেপি। বিশেষ করে গেরুয়া শিবির লক্ষ্মীর ভান্ডারকে টার্গেট করতে চাইছে। বিজেপির এক নেত্রীর অডিও শুনিয়ে এদিন অভিষেক বলেন, “আপনারাই শুনুন, বিজেপি নেত্রী কী বলছেন!”
অভিষেকের শোনানো সেই অডিও বার্তায় এক মহিলাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, তিন মাস পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। তবে আগেও তৃণমূল দাবি করেছিল, কিছুদিন আগে কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি মহিলা মোর্চার এক নেত্রী এমন বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করছেন।
নির্বাচনী সভা থেকে হঠাৎ এই অডিও বার্তা চালু করেন অভিষেক। এক বিজেপি নেত্রীর অডিও শুনিয়ে তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, “আজ থেকে ১০ দিন আগে দীপা চক্রবর্তী নামে এক বিজেপি নেত্রী এটা বলেছেন। এত দিন হয়ে গেলেও বিজেপি ওর বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তার মানে এতে বিজেপির সমর্থন রয়েছে।”
কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “দিদি দিচ্ছেন, আর মোদী কেড়ে নিচ্ছেন! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে দিদি হাজার টাকা করে দিচ্ছেন। আর আধার এবং প্যানের লিঙ্ক করানোর নামে সেই টাকা নিয়ে নিচ্ছেন মোদী।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।