সংক্ষিপ্ত
একটা সময় হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বামেদেরর খাস তালুক ছিল। এখন সেখানেই পিছিয়ে তারা। সিঙ্গুরের মত গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
লোকসভা নির্বাচনের হটসিট হুগলি। এই কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই। বিজেপি আর তৃণমূলের দুই স্টার ক্যান্ডিডেটের প্রতিপক্ষ বামফ্রন্ট প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ। বিজেপি প্রার্থী করেছে এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দিদি নম্বর ওয়ানের জনপ্রিয় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। লকেট আর রচনার মাঝে কিছুটা হলেও ফিঁকে মনোদীপ ঘোষ।
হুগলি লোকসভা-
এই কেন্দ্রের মোট ভোটার ১.৬৩০.০৪২। সিঙ্গুরের মত গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই হুগলি লোকসভা একটা সময় ছিল বামেদের রাজত্ব। ১৯৬৭ সালথেকে এই কেন্দ্র বামেদের দখলে। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরে নির্বাতনে কংগ্রেস সাংসদ পেয়েছিল হুগলি। কিন্তু তারপর ১৯৮৯ সাল থেকে টানা ২০০৯ সাল পর্যন্ত সিপিএম সাংসদ দেখেছে হুগলি। এই কেন্দ্রের ৬ বারের সাংসদ ছিলেন রূপচাঁদ পাল। তাঁকে হারিয়ে ২০০৯ সালে সাংসদ হন তৃণমূলের রত্না দে নাগ। দুই বার তিনি সাংসদ হন। রত্নাকে হারান বিজেপির লকেট। এবার কে জিতবে- সেটাই প্রশ্ন।
'সন্দেশখালির ঘটনা ১ শতাংশ সত্যি হলে ১০০ শতাংশ দায় সরকারের', মমতার সরকারকে টেনে আনল কলকাতা হাইকোর্ট
২০১৯ সাল থেকে এই কেন্দ্রের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। একালায় তাঁর নিত্য যাতায়াত রয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগও রয়েছে। এলাকার অনেক অনুষ্ঠানেই প্রথম সারিতে দেখা যায় লকেটকে। তুলনায় অনেকটাই নতুন লকেটের একটা সময়ের সতীর্থ রচনা। রাজনীতিতেও যেমন নতুন তেমনই হুগলিতেও নতুন। যদিও একটা সময় বাংলা ছবির স্ক্রিন শেয়ার করেছেন লকেট আর রচনা। অনেক ছবিতেই তাঁদের একই সঙ্গে দেখা গিয়েছে। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে তাঁরা সাপেনেউলে।
PM Modi: 'সন্দেশখালির জন্য তৃণমূলকে ভুগতে হবে', কোচবিহার থেকে মমতাকে আক্রমণ মোদীর
রচনাকে প্রার্থী করেছেন মমতা। রাজনীতির সঙ্গে এর আগে তার তেমন কোনও যোগ ছিল না। যদিও প্রার্থী হয়ে এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে লকেট একবারের সাংসদ। রাজনীতি অনেকটাই এগিয়ে লকেট। তবে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তাঁকে কিছুয়া হলেও পিছিয়ে দিয়েছে।
Rahul Gandhi: কী করে রাহুল গান্ধী কোটি কোটি টাকা আয় করেন? রইল কংগ্রেস নেতার সম্পত্তির দীর্ঘ তালিকা
একে অপরকে নিশানা করার কোনও সুযোগই তারা হাত ছাড়া করতে রাজি নয়। প্রচার যুদ্ধে অনেকটাই পিছিয়ে বামফ্রন্ট প্রার্থী মনোদীপ। পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ ছাড়া তাঁর আর কোনও পরিচয় নেই। এলাকার রাজনীতি তিনি খুব ভাল করে চেনেন। দীর্ঘ দিন ধরেই রাজনীতি করছেন। ৫২ বছর বয়সে সংসদীয় রাজনীতিতে এসেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, দলের নির্দেশেই তিনি প্রার্থী।