সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মন্দির নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি বলেন, রথযাত্রার জন্য সোনার ঝাড়ু তৈরি করে দেবেন। নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে অনুদানের দেবেন ৫ লক্ষ টাকা।

 

অক্ষয় তৃতীয়র দিনেই উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। দিঘা সফরে গিয়ে মন্দির নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেমনই জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, মাত্র তিন মাসের মধ্যেই শেষ হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সফর উপলক্ষ্যে দিঘা জুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা। সমুদ্রে স্পিডবোট চালান হয়েছিল নিরাপত্তার জন্য।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মন্দির নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি বলেন, রথযাত্রার জন্য সোনার ঝাড়ু তৈরি করে দেবেন। নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে অনুদানের দেবেন ৫ লক্ষ টাকা। তবে ঝাড়ু তৈরি করে দেবে ইসকন।

জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনের জন্য মঙ্গলবার দিঘা গিয়েছিলেন মমতা। বুধবার বেলা দেড়টা নাগাদ মন্দির পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, জেলাশাসক, বিধায়ক ছাড়াও ছিলেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'সমুদ্র সৈকতে একটি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করব বলে ঠিক করেছিলাম। আমার সঙ্গে সরকারি আধিকারিকরা ছিলেন। তিন বছর পরে সেই কাজ শেষ হল।' তিনি আরও জানিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন আগামী অক্ষয় তৃতীয় দিঘার মন্দির উদ্বোধন হবে। মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, রীতি ভেঙে এবার রথযাত্রায় দিঘার মন্দিরে থাকবেন তিনি। উলটো রথে ইসকনের রথে যাবেন। তিনি আরও বলেন, ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্টও আসবেন দিঘার মন্দিরে। পুজোর ৪৮ ঘণ্টা আগেই তাঁরা দিঘায় পৌঁছে যাবেন। দিঘার জগন্নাথ মন্দির বাংলার একটি অন্যতম তীর্থধাম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, মন্দিরে আলাদাভাবে একটি ভোগঘর, স্টোররুম, গেস্ট রুম,বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা থাকবে। পুজোর সমাগ্রী বিক্রির জায়গা রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জিনিসপত্র বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। দোকান করবেন সনাতন ধর্মের মানুষও। পুরীর খাজার মত দিঘায় থাকবে বাংলার ক্ষীরের গজা, প্যাড়া, গুজিয়া। এগুলোর জন্য তৈরি হবে ট্রাস্টি। মমতা জানিয়েছেন মার্বেলের মূর্তি তৈরির কাজ শেষ এবার নিমকাঠের মূর্তি তৈরির কাজ চলছে। সেই মূর্তি সামনে রেখে পুজো হবে। মন্দির চত্ত্বরে থাকবে লক্ষ্মী মন্দির। থাকবে চৈতন্যদ্বার। সেটাই হবে মূল ফটক। সেখানে থাকবে চৈতন্যের মূর্তি। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় থাকবে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অগ্নিনির্বাপন কেন্দ্র।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।