সংক্ষিপ্ত

বদলে নতুন কোনও মুখ হয়তো এখনই মন্ত্রিসভায় আসবে না। শুধু দায়িত্ব বন্টনে সামান্য পরিবর্তন করা হতে পারে।

মন্ত্রিসভা নিয়ে এবার আবারও বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই এক দিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভা ও প্রশাসনে বড় রদবদল করতে পারেন। ভোট পর্ব শেষ ও আদর্শ আচরণবিধি শেষ হওয়ার পরেই রদবদল করতে চেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিনধ্য়েই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে রাজীব কুমারকে।

এই বদলে নতুন কোনও মুখ হয়তো এখনই মন্ত্রিসভায় আসবে না। শুধু দায়িত্ব বন্টনে সামান্য পরিবর্তন করা হতে পারে। বা কাউকে কোনও দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে এটাই শেষ নয়। সরকার ও সংগঠনে বড় রদবদল এখন অনিবার্য। এবং তা হতে পারে ভাদ্র মাস পড়ার আগেই।

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর এই বছর অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি হতে পারে রদবদল। কারণ বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস ও দলের নেতা মন্ত্রীরা সকলেই ব্যস্ত রয়েছেন ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি নিয়ে। তারপরই ১৫ অগাস্টে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। তাই স্বাধীনতা দিসবের আগেই মন্ত্রিসভার রদবদল করতে পারেন মমতা।

তবে তৃণমূল সূত্রের খবর ভাদ্র মাস পড়ার আগেই মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পরে তৃণমূল। বিজেপি বা কংগ্রেসের মত তৃণমূল কংগ্রেসও ভাদ্র মাসকে শুভ বলে মনে করে না। আর সেই কারণে ভাদ্র মাস পড়ার আগেই দল , প্রশাসন , মন্ত্রিসভা- সবক্ষেত্রেই বদল করতে চায়। চলতি বছর ভাদ্র মাস পড়ছে ১৬ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের পরের দিনই।

লোকসভা নির্বাচনে ২৯টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা উপনির্বাচনেও চারটি কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছে ঘাসফুল শিবির। বিধানসভায় আরও শক্তি বেড়েছে তৃণমূলের। তবে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের এক মন্ত্রী সাংসদ হয়েছেন। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভায় বদল আনা জরুরি। যদিও তৃণমূল শিবিরে এখন গুঞ্জন তারা ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দেবে দ্রুত। তার আগেই মন্ত্রিসভা ও প্রশাসনে রদবদল করে পরিকল্পনা পাকা করেই এগিয়ে যেতে চাইছেন মমতা। তেমনই শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে।