সংক্ষিপ্ত

নবান্নের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর লক্ষ্য হকার উচ্ছেদ নয়। নাগরিক পরিষেবায় স্বাচ্ছন্দ্য আনা। মমতা বলেন, 'পুরো ব্যাপারটায় সৌন্দর্য বজায় রাখতে হবে।

 

নবান্নেব বিশেষ বৈঠকে রাজ্যের জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাদের কিছুটা স্বস্তি দিয়ে এক মাস সময় বেঁধে দিলেন মমতা। বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তা ও বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে সতর্ক করেন। হকারদের পাশাপাশি মমতা রীতিমত ধমক দিয়েছেন কাউন্সিলর, নেতা , পুলিশ - সকলকেও। তিনি মনে করেন রাজ্য সরকারের জন যে ভাবে জবরদখল করা হয়েছে তাদের ত প্রশাসনের একাংশের মদত রয়েছে। যদিও আগেই মমতা অভিযোগ তুলেছিলেন টাকা নিয়ে ফুটপাথে হকারদের বসান হচ্ছে বলে।

হকার উচ্ছেদ নিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতার-

নবান্নের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর লক্ষ্য হকার উচ্ছেদ নয়। নাগরিক পরিষেবায় স্বাচ্ছন্দ্য আনা। মমতা বলেন, 'পুরো ব্যাপারটায় সৌন্দর্য বজায় রাখতে হবে। আগুন যাতে না লাগে তার দিকে খেয়াল রাখতে হয়। একজন হকার একটাই স্টল পাবেন।' এদিন বৈঠকে মমতা গড়িয়াহাট ও গ্র্যান্ড হোটেলের সমানে হকার বসার তীব্র বিরোধিতা করেন। বলেন, 'কাউকে বেকার করার অধিকার আমাদের নেই। তবে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। আমি চাই না কারও ব্যবসা বন্ধ হোক। কিন্তু বেশই সময় দেওয়া যাবে না।' মমতা হাকারদের উচ্ছেদের সময়সীমাও বেঁধে দেন এদিন। মমতা বলেন, 'হকারদের আমি এক মাস সময় দিচ্ছি। এর মধ্যেই সব গোছাতে শুরু করুন। রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের সার্ভে চালু থাকবে। আপানদের কোথায় জায়গা দেওয়া যায় তা সরকারি দেখবে। গোডাউনের ব্যবস্থাও করবে। কিন্তু রাস্তা দখল করা যাবে না।' এদিন মমতা জানিয়ে দেন হকারদের তিনি ভালবাসের। তাদের প্রতি তাঁর কোনও আক্রোষ নেই। মমতা বলেন, 'একমাস আপাতত উচ্ছেদ হবে না। তার মধ্যে আমাদের সার্ভের কাজ চলবে। কিন্তু তার মধ্যে সব ঠিক করতে হবে।'

মমতার নিশানায় পুলিশ

নবান্নের বৈঠকে মমতা আক্রমণ করেন রাজ্য পুলিশকে। যদিও রাজ্যের পুলিশ বা স্বরাষ্ট্র দফতর তাঁরই অধীনে। মমতা বলেন, 'পুলিশের লোভ আজকাল বেড়ে গিয়েছে। তারা গরীব হকারদের থেকে চাঁদা নিচ্এছ। মনে রাখবেন আমার দল টাকা চায় না। আমি আগেও বলেছি। এখনও বলছি। দরকার হলে মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষে করবে। তাই যে পুলিশকে ইন্ধন দিতে দেখা যাবে তাকে সঙ্গে সঙ্গে সরান হবে। কাউকে ছাড়ব না।' তিনি আরও বলেন, যেসব এলাকায় বেআইনি দখল হবে সেখানকার কাউন্সিলদের গ্রেফতার করা হবে। মমতা বলেন, 'যত বড়ই নেতা হন, তাঁকে ছাড়া হবে না। '

বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে কড়া মমতা

মমতা বলেন, রাস্তা তৈরির পরে পাঁচ বছর রাস্তা ঠিকঠাক না থাকলে ঠিকাদারদের ব্ল্যাক লিস্ট করতে হবে। বেআইনি বাড়ি ও বিপজ্জনক বাড়ি ঠিক না করা হলে বাড়ি অধিগ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় দখল হয়ে যাওয়া নিয় গত সোমবার বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে উপস্থিত থছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা, পুরনিগমের চেয়ারম্যান ও মেয়ররা। সেখানেই নাগরিক পরিষেবা নিয়ে উষ্মা প্রকগাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হকার উচ্ছেদ শুরু হয়।