সংক্ষিপ্ত
ধর্ষণ রুখতে নতুন বিল পেশ করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোম ও মঙ্গলবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। সেখানেই পেশ করা হচ্ছে নতুন বিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেনস কেন্দ্র না করলে রাজ্য নিজেই ধর্ষণ রুখতে ও ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি দিতে নতুন বিল আনবে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সবুজ সংকেত দেয়নি কেন্দ্র।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় যে বিলটি আনা হচ্ছে সেটির নাম দেওয়া হচ্ছে 'অপরাজিতা ওমেন চাইল্ড বিল ২০২৪'(Aparajita Women-Child Bill 2024)। পশ্চিমবঙ্গ ক্রিমিনাল ল'অ্যামেন্ডমেন্ট বিল হিসেবেই আসবে বিধানসভায়। বিলটি বিধানসভায় পেশ করবেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার, যৌন নির্যাতন , ধর্ষণ ও গণধর্ষণ সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে তারই অন্তর্গত হবে এটি। দ্রুত বিচারের জন্য শুধুমাত্র বাংলার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধারা যোগ করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য এই বিলে কিছু সংশোধন করা হচ্ছে। বিলে জোর দেওয়া হয়েছে, দ্রুত বিচার, ডেডিকেটেড বিশেষ আদালত, ডেডিকেটেড তদন্তকারী দল গঠন। তদন্তকারী দলকে বিশেষ সুযোগ সুবিধে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথাও বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্ত শেষ করার সময়সীমা দেওয়া ছিল।
নতুন বিলে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদাণ্ড ও জরিমানা অথবা মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে জরিমানা ও আমৃত্যু কারাদণ্ড ও মৃত্যু দাণ্ডের কথা বলা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগের পাশাপাশি ধর্ষণকারীদের আঘাতে যদি অভিযুক্তের মৃত্যু হয় তাহলে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানার শাস্তি ধার্যা করা হয়েছে। ধর্ষণ সংক্রান্ত সব মামলায় জামিন অযোগ্যা ধারার কথা বলা হয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডের পরই ধর্ষকদের দ্রুত আর কঠোর শাস্তির দাবিতে সওয়াল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় সরকারকেও চিঠি লিখেছিলেন। দুটি চিঠি লিখলেও মোদী একটি চিঠিরও উত্তর দেননি। যদিও সেই চিঠির উত্তরে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রাজ্য সরকার ধর্ষণের বিচারের জন্য ফাস্টট্র্যাক কোর্ট চালু করা হচ্ছে না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।