সংক্ষিপ্ত

কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচন এলেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়িয়ে দেয় বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিশ্ব আদিবাসী দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফের ডিএ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পাশাপাশি ডিএ প্রসঙ্গে মমতার নিশানায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচন এলেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়িয়ে দেয় বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ঝাড়্গ্রামে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'নির্বাচন এলেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি ও রাজ্য সরকারের চাকরির মধ্যে পার্থক্য আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির পলিসি আলাদা, রাজ্য সরকারের আলাদা।' তিনি আরও বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রয়েছে, আর আমরা ১০০ দিনের কাজের টাকা পাইনা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হচ্ছে না।'

প্রসঙ্গত, এদিন তিন ভাষা ফর্মুলা নিয়েও বিস্তারিত জানালেন মমতা। সোমবার মন্ত্রীসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নয়া শিক্ষানীতি প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের সরকারি বেসরকারি সব স্কুলে বাংলা বাধ্যতামূলক করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বাংলা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি উঠতে থাকে। এবার যাবতীয় বিভান্তি মেটাতে গোটা বিষয়টিকে স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানান,'সরকার তিনটি ভাষার কথা বলেছেন। এর মধ্যে এক নম্বরে থাকবে মাতৃভাষা। অন্য দুটি ভাষা পড়ুয়ারা নিজের পছন্দমত বেছে নিতে পারে। অর্থাৎ যাঁরা বাংলা মিডিয়ামে পড়ে তাঁদের প্রথম ভাষা বাংলা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাষার জায়গায় নিজের ইচ্ছেমত ইংরেজি, হিন্দি, নেপালি, গুরুমুখী... যেকোনও ভাষা নিতে পারে। সবই বিকল্প হিসেবে থাকবে।'

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন,'অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অলচিকি মাধ্যমে যাকা পড়ে তাদের প্রথম ভাষা অলচিকি। পরে আরও দুটো ভাষা নেওয়ার সুযোগ আছে। শুধু মনে রাখতে হবে, তিন ভাষার ফর্মুলায় এক নম্বরে থাকবে মাতৃভাষা। বাকি দুটি ভাষা পড়ুয়ারা নিজেরা বেছে নিতে পারবেন।' তিনি আরও জানিয়েছেন স্থানীয় জনজাতি কোন ভাষায় কথা বলে তাই দিয়েই প্রথম ভাষার নির্ধারণ হবে।