সংক্ষিপ্ত

কেন্দ্রের বেতন কাঠামো হিসেবে কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের মাইনে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪০ দিন ছুটি দেওয়া হয়। দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

২৯ নভেম্বর বিজেপি বনাম তৃণমূল হট্টগোলের মাঝে আরও একবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বা DA-র দাবি সম্পর্কে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, “ডিএ (DA) বাধ্যতামূলক নয়, অপশন মাত্র।” রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বছরে বাড়তি ছুটি পান। এমনকী, তাঁদের বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

-

বুধবার তৃণমূলের ‘কালা দিবস’-এ কালো পাড়ের শাড়িতে বিধানসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই অধিবেশনে বিরোধী দলের কোনও নেতানেত্রী উপস্থিত ছিলেন না। এদিন আরও একবার ডিএ দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন, এমনকি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য় সরকার কী কী করেছে, তার খতিয়ান তুলে ধরে মমতা বলেন, “গত ২ বছরে ২ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করেছি। নতুন পে কমিশনের হিসেবে DA দেওয়া হয়েছে।” তারপরেই তিনি মনে করিয়ে দেন, “মহার্ঘ ভাতা কিন্তু ম্যান্ডেটরি নয়, এটা অপশন।”

-

রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বারবার অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ৪০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে। অথচ, রাজ্য় সরকারি কর্মচারীরা এর চেয়ে অনেক কম হারে ডিএ পান। এমনকী, তাঁদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতাও মেটায়নি নবান্ন। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রের কর্মচারীরা কেন্দ্রের স্ট্রাকচার অনুযায়ী চলে। সেই অনুযায়ী বেতন, ডিএ পায়। কেউ চাইলে (কেন্দ্র সরকার) ওখানে জয়েন করতে পারে।” এর পরই তাঁর সংযোজন, “ভুলে গিয়েছেন, বছরে তাঁরা ৩-৪ দিন বাড়তি ছুটি পান। আমাদের এখানে যে ৪০ দিন ছুটি পান, এটারও তো ভ্যালু অ্যাড করতে হবে। এই সরকারই একমাত্র বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।”

-

সরকারি কর্মচারীদের পেনশন দেয় রাজ্য সরকার। সে কথা মনে করিয়ে মমতা বলেন, “একমাত্র রাজ্য বাংলা, যারা সরকারি কর্মচারীদের পেনশন দেয়। অনেকে বলেছে বন্ধ করে দাও তাহলে সুদের টাকার পরিমাণ কমে যাবে। আমি বলেছি না, একটা জীবন ৬০ বছরের নয়, আরও ২০-৩০ বছর মানুষ বাঁচে। তাঁরা সংসার চালাবেন কীভাবে?”



আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।