সংক্ষিপ্ত

চন্দ্র বসু বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের জনগণেরর জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। তিনি কখনই বিভেদ মূলক রাজনীতিতে লিপ্ত হননি। ধর্ম বর্ণ বা জাতির ভিত্তিকে ভেদাভেদ করেননি।

 

বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূষয়ী প্রশাংসা করেন। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ধর্ম নিরপেক্ষ প্রমাণ পত্রাদি'কে স্বাগত জানিয়েছে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, মমতা গেরুয়া শিবিরের বিপরীতে কখনই বিভাজনমূলক রাজনীতিতে লিপ্ত হননি। বিজেপি নেতা চন্দ্র বসুর এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহল জল্পনা উস্কে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তিনি কি এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন।

কয়েক বছর আগে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতির পদ থেকে বাদ পড়েন তিনি। তারপর থেকেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বেরের সঙ্গে তাঁর টানাপোড়েন তৈরি হয়। এর আগেই চন্দ্র বসু বলেছিলেন, বিজেপি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের বি-টিমে পরিণত হয়েছে। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন তিনি বিজেপির রাজ্য় সহ-সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু দলের সেবা তৈরি করে যাচ্ছেন। তবে সব হিসেবে ওটলপাটল হয়ে যায়, ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে রেডরোডে উপস্থিত থাকা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসু পরিবারের আরও এক সদস্য সুগত বসু। যদিও নেতাজির অন্তর্ধান-সহ একাধিক বিষয়ে তাঁদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।

কিন্তু চন্দ্র বসু বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের জনগণেরর জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। তিনি কখনই বিভেদ মূলক রাজনীতিতে লিপ্ত হননি। ধর্ম বর্ণ বা জাতির ভিত্তিকে ভেদাভেদ করেননি। বিপরীতে বিজেপি বিভাজনের রাজনীতিতে লিপ্ত। কিন্তু তা দীর্ঘ মেয়াদে তেমন কোনও ফল দেয় না। কারণ একটি সারা বিশ্বে দেশের ভারমূর্তি নষ্ট করছে।'

স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্র বসু। তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তার এক দিন পরেই সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন। তবে এটাই প্রথম নয়, সিএএ নিয়ে ২০১৯ সালে যখন গোটা দেশ যখন উত্তাল হয়েছিল তখনও চন্দ্র বসু রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দুরত্ব বজায় রেখেছিলেন। তিনি মনে করেন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মূল এজেন্ডাই ছিল বিভাজনের রাজনীতি। যা তিনি মেনে নেননি। তবে সেই সময়ই তিনি ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের প্রায় ১৪৮ দলবদলুকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। যাদের মাত্র দুই তৃতীয়াংশ জিতেছিল। সেই সময়ই তিনি বলেন, বলেছিলেন বিজেপি তৃণমূলের বি-টিমে পরিণত হয়েছে।

এদিন এই মন্তব্যের পরেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন কিনা? সেই প্রশ্নের উত্তরে চন্দ্র বসু জানান, তিনি 'সময়ই তার জবাব দেবে। আমি এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।' তবে একটি নিউজ চ্যালেনকে বলেছিলেন 'আমাকে যদি রাজনীতি করতে হয় তবে আমি বি-টিম না করে এ-টিম-র হয়েই রাজনীতি করব। ' তবে রাজ্য বিজেপি এখনও পর্যন্ত এই বিষয় মন্তব্য করেনি। তবে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তিনি হয়তো টিএমসিতে ফেরার একটি মসৃণ রাস্ত তৈরি করার চেষ্টা করছেন।