সংক্ষিপ্ত

ধরা পড়ল মোবাইল চুরির বড় চাঁই। মোবাইল চুরির তদন্তে নেমে এবার আন্তর্জাতিক মোবাইল পাচার চক্রের হদিশ পেল বারাসাত (Barasat) থানার পুলিশ।

ধরা পড়ল মোবাইল চুরির বড় চাঁই। মোবাইল চুরির তদন্তে নেমে এবার আন্তর্জাতিক মোবাইল পাচার চক্রের হদিশ পেল বারাসাত (Barasat) থানার পুলিশ।

ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। ধৃতরা হল আজহার মোল্লা, আলমগীর ওস্তাগীর এবং মীর হোসেন। এদের মধ্যে আবার আজহারের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উস্তি থানা এলাকায়। বাকি দুজনের বাড়ি হল হাসনাবাদে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাংলাদেশ সীমান্তের স্বরূপনগর এলাকা থেকে চুরি যাওয়া মোবাইলগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই টাকি রোড সংলগ্ন কদম্বগাছি এলাকার একটি দোকানের সাটার ভেঙে ১৮ টি মোবাইল চুরি হয়ে যায়। তারপর এই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়। সেইসঙ্গে, বাড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশি টহলও। ফলে, আরেকটি মোবাইলের দোকানে চুরি আটকানো যায়।

এরপরই সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে, কাজিপাড়ার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আজহার এবং আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি জেরার মুখে ধৃতরা চুরির অভিযোগ স্বীকারও করে নেন। এমনকি, জেরায় বাংলাদেশে মোবাইল পাচারের কথাও জানান তারা।

তারপর হাসনাবাদের বাসিন্দা তথা এই চক্রের লিঙ্কম্যান মীর হোসেনের নাম সামনে আসে। এরপর মীরকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরই বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার স্বরূপনগরের বিথারি থেকে চুরি যাওয়া মোবাইলগুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

শনিবার, এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বারাসাত জেলা পুলিশের এসডিপিও বিদ্যাগর অজিঙ্কা অনন্ত জানান, “ধৃতদের বিরুদ্ধে জেলার একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। যেই এলাকায় ওরা বাড়ি ভাড়া নিত, সেখানকার চার থেকে পাঁচটি দোকানে চুরি করে বাংলাদেশে মোবাইল পাচার করত। তবে এখানে একটি মাত্র দোকানে চুরির ঘটনা ঘটার পরেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।