সংক্ষিপ্ত

ঘটনার সূত্রপাত মাস ৬ আগে। চলতি বছর জুন মাসে বাপের বাড়িতে এসে মেয়ে সুম্মিতা গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাঁর স্বামী সুশংকর চট্টোপাধ্যায়।

 

নিজের স্ত্রীকে নিয়ে পর্নগ্রাফি তৈরি করতে চেয়েছিল স্বামী। যা নিয়ে শ্বশুরবাড়ির ওপর থেকে প্রবল চাপ ছিল। সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছিল মেয়ে। কিন্তু মেয়ের এই আত্মহত্যার সুবিচার না পেয়ে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল মাকেও। এবার আত্মহত্যা করল মৃতার মাও। নিহতের বাড়ি বর্ধমানের কালনায়।

ঘটনার সূত্রপাত মাস ৬ আগে। চলতি বছর জুন মাসে বাপের বাড়িতে এসে মেয়ে সুম্মিতা গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাঁর স্বামী সুশংকর চট্টোপাধ্যায়। নিহতের বাবা জানিয়েছেন, মেয়েকে পর্ন ছবিতে অভিনয় করাতে চেয়েছিল স্বামী। তাতে রাজি না হওয়ায় মেয়ের ওপর লাগাতার অত্যাচার করত। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও তাঁর মেয়ের ওপর অত্যাচার করত। শেষপর্যন্ত বাপের বাড়িতে এসে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। অন্যদিকে নিহতে সুস্মিতার স্বামী জানিয়েছে, তার স্ত্রীর ওপর বাপের বাড়ির লোক অত্যাচার করত আর সেই কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।

সুম্মিতার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলের প্রতিমাদেবী। সেখান থেকে মেয়ের সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর অভিযোগ ছিল সেখানে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁর ওপর প্রবল মানসিক অত্যাচার করে। সেখানে তাদের সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করা হয়। তারপর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন প্রতিমা।

শনিবার সকালে নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয় প্রতিমার নিথর দেব। তাঁর স্বামী জানিয়েছেন, মেয়ের মৃত্যুর সুবিচার না পেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। যদিও এই ঘটনায় স্থানীয়রা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। মৃতদেহ উদ্ধার করতে এলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। যদিও পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে শুরু হয়েছে তদন্ত।