সংক্ষিপ্ত
বাড়ছে বেকারত্ব। এই অবস্থায় সামনে আসে নিয়োগ দুর্নীতি। আরও জ্বালা বাড়ে মানুষের। চাকরি হারা হন ২৬ হাজার যুবক যুবতী। এবার বেকার
রাজ্যে ভোটের আবহ। এরই মাঝে নয়া খবর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য। পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যে চাকরির সংখ্যা দিন দিন কমছে। বাড়ছে বেকারত্ব। এই অবস্থায় সামনে আসে নিয়োগ দুর্নীতি। আরও জ্বালা বাড়ে মানুষের। চাকরি হারা হন ২৬ হাজার যুবক যুবতী। এবার বেকার যুবক যুবতীদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। চালু করা হয়েছে যুবশ্রী প্রকল্প।
এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য কারা?
১. প্রার্থীর বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে।
২. তাঁকে এই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
৩. আবেদনকারী প্রার্থীর অবশ্যই একটি এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড থাকতে হবে।
৪. সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং কিংবা প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
৫. নিজের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা ১৮ বছর পার করেও কোন চাকরি পাননি। তাঁদের জন্য যুবশ্রী প্রকল্পের আয়তায় দেড় হাজার টাকা করে ভাতা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে রাজ্যের যে কোন প্রান্তের বাসিন্দাই এই যুবশ্রী প্রকল্পের আওতায় ভাতা পেতে পারেন।
যুবশ্রী প্রকল্পে আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?
১. আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি।
২. আধার কার্ড, ভোটার কার্ড কিংবা রেশন কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো যে-কোনো একটি ফটো আই ডি প্রুফ।
৩. প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও মার্কশিট।
৪. কাস্ট সার্টিফিকেট।
৫. আবেদনকারীর সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-এর পাস বুকের প্রথম পাতার জেরক্স।
৬. বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড অথবা আধার কার্ড।
৭. প্রার্থীর স্থায়ী বাসস্থানের প্রমাণ
অনলাইনে যুবশ্রী প্রকল্পে আবেদনের পদ্ধতি
এই প্রকল্পে সরাসরি আবেদনের জন্য রাজ্য সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর যুবশ্রী প্রকল্পে লিংকে ক্লিক করে যুবশ্রী সেকশনে যেতে হবে। সেখান থেকেই ক্লিক করতে হবে নিউ এনরোলমেন্ট বাটনে। এরপর স্ক্রিনে যে আবেদনপত্র আসবে তা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। নেক্সট অপশনে ক্লিক করে পরের পেজে গিয়ে সমস্ত ডকুমেন্টস স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
কাজ শেষ হলে সাবমিট অপশনে ক্লিক করে আবেদন পত্র সমেত সমস্ত ডকুমেন্টস পাঠিয়ে দিতে হবে। এরপর অনলাইনে একটি রসিদ দেওয়া হবে। সেখানেই প্রার্থীদের জন্য একটি ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড লেখা থাকবে। এরপর ওই রেজিস্ট্রেশন ফর্ম এবং রসিদটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। এরপর প্রার্থীকে ওই প্রিন্ট নিয়ে নিকটতম এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ অফিসে যেতে হবে।
সেখানে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম আর রশিদ জমা দিলে আবেদনকারীর মোবাইলে একটি ওটিপি আসবে। সব শেষে ওটিপি ভেরিফিকেশনের পর এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ অফিস থেকেই প্রার্থীদের এমপ্লয়মেন্ট নম্বর এবং পাসওয়ার্ড লেখা একটি কার্ড দেওয়া হয়। এটিই এক্সচেঞ্জের কার্ড।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।