সংক্ষিপ্ত

'ডেমোক্রেসি ইন কোমা' বইটিতে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসার কথা বলা হয়েছে। এই বইতে যা লেখা রয়েছে তা কোনও গল্প নয়। বলেন নাড্ডা।

 

দিল্লির অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাকে নিশানা করলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নান্না। তিনি বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে কোনও গণতন্ত্র নেই। 'ডেমোক্রেসি ইন কোমা' নামের একটি বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা এই রাজ্যে 'দ্যা কেরালা স্টোরি ' নিষিদ্ধ করা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সিনেমার সঙ্গে কোনও রাষ্ট্র বা ধর্মের সম্পর্ক নেই। তারপরই তিনি মমতাকে কটাক্ষ করে বলেন, 'গণতন্ত্রের অন্যতম চ্যাম্পিয়ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিনেমাটি নিষিদ্ধ করেছেন বাংলায়।'তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র অবশিষ্ট নেই। এই রাজ্যে গণতন্ত্র কোমায় চলে গিয়েছে।

পাশাপাশি 'ডেমোক্রেসি ইন কোমা'নামের বইটির কথাও বলেন জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, বইটিতে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসার কথা বলা হয়েছে। এই বইতে যা লেখা রয়েছে তা কোনও গল্প নয়। প্রত্যেকটি ঘটনাই বাস্তাব। তিনি আরও বলেন, বাংলার সন্ত্রাসের একজন শিকার তিনিও। এই বলেই তিনি তাঁর ডায়মন্ড হারবার সফরের কথা বলেন। তিনি বলেন কীভাবে ডায়মন্ড হারবারে তাঁর কনভয়ের ওপর হামলা চালান হয়েছিল। নাড্ডা মমতাকে টার্গেট করে বলেন, 'বিরোধীদের নীরব করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই কাজে রীতিমত যোগ্য। সেই কারণেই রাজ্যের পরিস্থিতি বেদনাদায়ক।' তিনি আরও বলেন তাঁর কনভয়ে হামলা করা হয়েছিল রীতিমত ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে।

এদিন নাড্ডা বলেন বাংলায় পরিবর্তন আনতে হবে। যা একমাত্রা বাংলার জনগণই পারে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি বাংলায় পরিবর্তনের কথা বলে। এই রাজ্যে পরিবর্তন আনতে বিজেপি রাজ্যের মানুষের পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু জেপি নাড্ডা নয়, ভোট পরবর্তী সন্ত্রীস নিয়ে রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপির একাধিক নেতা।

সম্প্রতি 'দ্যা কেরালা স্টোরি ' র প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রীতিমত তোপ দেগেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসীমার ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, দেশের বাকি অংশে কোনও রকম সমস্যা ছাড়াই 'দ্যা কেরালা স্টোরি' প্রদর্শন হচ্ছে। তাহলে এই রাজ্যে কেন এই ছবি প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার কোনও কারণ নেই বলেও মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী বুধবারের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে রিপোর্ট দিতেও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।