সংক্ষিপ্ত
নামচিতে বড় মাপের কম্পন অনুভূত হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্সিয়াং, শিলিগুড়ি, নকশালবাড়িতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
চলতি বছরে দেশের অনেক রাজ্যে বর্ষা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পরিমাণে হচ্ছে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় যেন ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। এদিকে রাজ্যের উত্তর শুক্রবার সকালে কেঁপে উঠল। ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠেছে উত্তরবঙ্গ ও সিকিম। কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৪। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং (Darjeeling District) ও জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri District) জেলায় সব থেকে বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে। এছাড়াও কম্পন টের পেয়েছেন উত্তর দিনাজপুর ও আলিপুরদুয়ারের মানুষজনও।
প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি একেবরেই মৃদু ছিল। তাই বড় কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। ভোরে অনেকেই ঘুমিয়ে থাকায় উত্তরবঙ্গের অনেক জায়গায় মানুষ ভূমিকম্প টেরও পাননি। তবে, কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি এলাকায় অনেক বাড়িরই জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছে। তাক থেকে পড়ে গিয়েছে জিনিসপত্র। এছাড়া, উল্লেখযোগ্য বড় ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। নামচিতে বড় মাপের কম্পন অনুভূত হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্সিয়াং, শিলিগুড়ি, নকশালবাড়িতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে যে ভূমিকম্প হয়েছে তার উৎস্যস্থল ছিল সিকিমের নামচি এলাকা। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাদং থেকে প্রায় ২৯ কিলোমিটার দূরে। গোটা সিকিম জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরতায় এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। আর সেই কারণেই ভূমিকম্পের মাত্রা খুব বেশি না হলেও দুলুনি বেশ ভালই টের পেয়েছেন উত্তরের দুই জেলার জনতা। ভারতের National Center for Seismology'র পক্ষ থেকে প্রথম এই ভূমিকম্পের রিপোর্ট করা হয়। পরে United States Geological Survey, Euro-Mediterranean Seismological Center এবং German Research Center for Geosciences-ও এই ভূমিকম্পের কথা জানিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।