সংক্ষিপ্ত
সন্দেশখালিতে অভিযানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন।নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।
আবারও সংবাদ শিরোনামে সন্দেশখালি। এবার সন্দেশখালিতে এল ন্যাশানাল সিকিউরিটি গার্ড বা NSG। শাহজাহান শেখের ঘনিষ্টের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র , বোমা। তারপরই সেখানে তদন্তের জন্য ডাকা হয়েছে NSGকে। সংস্থার কর্মকর্তারা রোবট নিয়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করেছে। শুক্রবার ফের সন্দেশখালিতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, শাহজাহান শেখের এক ঘনিষ্টের বাড়িতে প্রচুর অস্ত্র ও বোমা মজুত রয়েছে। সেই খবর পাওয়া মাত্রাই শুরু হয়েছিল অভিযান। উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র। তারপরই বাকি অভিযানের জন্য ডেকে পাঠাান হয়েছিল NSGকে। সূত্রের খবর NSG রোবট নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালু করেছে।
ইতিমধ্যেই সন্দেশখালিতে অভিযানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন।নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। তিনি বলেছেন, 'সিবিআই অভিযানের সময় ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেশখালিতে সারবেড়িয়া থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবশ্যই ব্যাখ্যা করতে হবে কেন এই অবৈধ অস্ত্রের বিশাল মজুত?' গোটা ঘটনাকে তিনি বিপজ্জনক বলেও দাবি করেছেন তিনি। অমিত মালব্য আরও বলেছেন, এনএসজি মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, সিবিআই তদন্ত রুখতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। তিনি বলেছেন, অস্ত্র সংগ্রহ সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সামিল। তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন বিপুল পরিমাণে অস্ত্র মজুত করেছেন তাও জানতে চেয়েছেন অমিত মালব্য।
শুক্রবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার মল্লিকপুরে শাহজাহানের আত্মীয় হাফিজুল খাঁয়ের ভগ্নিপতির বাড়িতে তল্লাশি চালায় তদন্তকারীরা। মূল রাস্তা থেকে প্রায় ২০০ মিটার ভিতরে মাছ ভেড়ি ঘেরা তাঁর বাড়িটি। সেখানেই যাওয়ার একটি সরু ইটপাতার রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিবিআই সূত্রের খবর সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে দিয়েছে। অন্যদিকে এদিনই সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।