সংক্ষিপ্ত

কথা রাখেলন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা যে রাজ্য সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় প্রথম থেকেই রয়েছে, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

কথা রাখেলন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা যে রাজ্য সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় প্রথম থেকেই রয়েছে, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

আর এবার তাঁর নির্দেশকেই অগ্রাধিকার দিল স্বরাষ্ট্রদপ্তর। রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে মাথায় বসিয়ে মোট ৭ সদস্যের বিশেষ সিকিওরিটি অডিট কমিটি গঠন করলেন তারা।

সবকটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা ফের একদফা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী সেইসব জায়গায় মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি ঘটনার মূল্যায়ণ করা হবে। সেইসঙ্গে, হাসপাতালের কর্মীদের নিরাপত্তা এবং সেলফ সিকিওরিটি বাড়ানোর কাজও করবে এই কমিটি।

প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশের আওতায় রয়েছে ৫টি মেডিক্যাল কলেজ। বাকি ২৩টি মেডিক্যাল কলেজই জেলায়। সেগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য জেলাশাসকের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সুপার, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলির প্রিন্সিপাল ও উপাধ্যক্ষদের যুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

এছাড়া সরকারি আদেশনামায় বলা হয়েছে, নতুন কমিটিতে যারা থাকবেন যুগ্ম কমিশনার কর্নেল নভেন্দর পাল সিং, ডিআইজি জয় বিশ্বাস, ডেপুটি কমিশনার পুষ্পা সহ আরও তিনজন।

অন্যদিকে, সোমবার সুপ্রিম শুনানির পর ফের জিবি বৈঠকে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রায় আট ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে পূর্ণ কর্মবিরতির সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের কথায়, রাজ্যের তরফে নিরাপত্তার আশ্বাস মিলেছে ঠিকই। কিন্তু নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেনি সরকার। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনাকে তুলে ধরে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিলেন তারা।

আর ঠিক এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই, নিরাপত্তার জন্য অডিট কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।