সংক্ষিপ্ত

নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনও রকমের সন্ত্রাস বা হিংসার খবর দলীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিতেই এই ব্যবস্থা বলে জানা যাচ্ছে।

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই অশান্তির আবহ জেলায় জেলায়। ২০১৮-এর 'রক্তক্ষয়ী' স্মৃতি উঠে আসছে বারবার। বিরোধীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ায় বাধা-সহ একাধিক ইস্যুতে কাঠগড়ায় শাসক দল। ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে বাম কংগ্রেস। এবার নির্বাচনের আবহে হিংসা রুখতে বড় পদক্ষেপ নিল বিজপিও। উল্লেখ্য, শনিবারই এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কাছে চিঠি দিয়ে নালিশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে যে কোনও রকমের অশান্তি এড়াতে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর ভালু করল পদ্ম শিবির। নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনও রকমের সন্ত্রাস বা হিংসার খবর দলীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিতেই এই ব্যবস্থা বলে জানা যাচ্ছে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে কর্মীদের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ দলীয় নেতৃত্ব পর্যন্ত পৌঁছবে হেল্প লাইন নম্বরের মাধ্যমে। আগামী ৭ দিন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে এই নম্বর। প্রয়োজনে ইমেলের মাধ্যমেও অভিযোগ জানাতে পারেন কর্মীরা। হেল্পলাইন নম্বর দুটি হল - 9230978451 অথবা 9230978587। এছাড়া ইমেলের মাধ্যমেও কর্মীরা পাঠাতে পারবেন ছবি, ভিডিও। ইমেল আইডি হল -emergencyresponsebjp@gmail.com৷। এই তথ্য জেলায় জেলায় বিভিন্ন পদাধিকারীদের কাছে পৌঁছে যাবে। সূত্রের খবর বিজেপির আইটি সেলই পরিচালনা করবে এই বিশেষ কন্ট্রোলরুমের কাজ।

অন্যদিকে, শনিবার নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কর্মী সমর্থকদের সচেতন থাকার বার্তা দেন। এদিন তিনি বলেন,'কোনও রকমের ঝামেলায় জড়াবেন না। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কোনও রকমের প্ররোচনায় পা দেবেন না।' এদিন কল্যাণীর ক্যাম্প থেকে উত্তর ২৪ পরগনার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন,'প্রশাসনকে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।'

অন্যদিকে একইদিনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের ভূমিকা ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে শাসকদলের থেকে এগিয়ে বিরোধীরা। সুজনের কথায়, 'আমাদের কর্মীরা অনেক জায়গাতেই মনোনয়ন জমা দিয়েছে এবং তার থেকেও বেশি জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েও দিতে পারেনি, কারণ নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত নয়। ছয় দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের গাফিলতিতে একদিন নষ্ট। এখন প্রশ্ন এই নষ্ট হবে জেনেই কি তৃণমূল বাহিনী আসেনি?' শুধু তাই নয় একাধিক জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন,'গতকাল মুর্শিদাবাদের রানিনগরে যখন আমাদের কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তখন তৃণমূলের নেতা বাইরের থেকে বাহিনী নিয়ে এসে আক্রমণ করেন। ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় কর্মীরা। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে রুখে দাঁড়িয়েছিল স্থানীয় মানুষেরা। যারা আক্রমণ করতে এসেছিল তাদের কার্যত তাড়া খেতে পালাতে হয়েছে, তৃণমূলকে তাড়া খেয়ে পালাতে হয়েছে।' সুজনের সংযোজন,'রানিনগর দেখে যেন তৃণমূল বোঝে যে মানুষ চায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে, সেটা যদি বাইরের থেকে বাহিনী এনে নষ্ট করার চেষ্টা করতে চায় তাহলে যেন রানিনগরের চেহারাটা মনে রাখে।'