সংক্ষিপ্ত
রবিবার বিকেলেই রাজভবনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য এর আগেও দু'বার রাজীব সিনহাকে ডেকে পাছিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে রাজ্যজুড়ে অশান্তির ঘটনা যেন বেড়েই চলেছে। অন্য দিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজ্যপাল-রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সংঘাত। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার ফের মুখোমুখি হতে চলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। রবিবার বিকেলেই রাজভবনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য এর আগেও দু'বার রাজীব সিনহাকে ডেকে পাছিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। তবে রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দেননি রাজীব। এই পরিস্থিতিতে আজকের সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনের আবহে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। উল্লেখ্য এর আগে দুবার রাজীব সিনহাকে রাজ্যপাল ডেকে পাঠালেও দেখা করেননি তিনি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে তোপ দেগে তাঁর জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল। ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে পৌঁছয় বিবাদ। এখন দেখার আজকের বৈঠকে কী হয়ে।
প্রসঙ্গত, ৮ জুলাই বঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরেই কেন্দ্রের কাছে মোট ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। সেই চাহিদা মেনে আপাতত পশ্চিমবঙ্গের ভোটের জন্য ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিবৃতি জানিয়ে মন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়েছে। বাকি বাহিনীও শীঘ্রই পাঠানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিচালিত মন্ত্রক। একদফার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ১২টি রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এইসব রাজ্য থেকে স্পেশাল আর্মড পুলিশও বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি থাকা জানা যাচ্ছে যে, ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে রয়েছে মোট ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদের মধ্যে রয়েছে ৫০ কোম্পানি সিআরপিএফ (CRPF), ৬০ কোম্পানি বিএসএফ (BSF), ২৫ কোম্পানি সিআইএসএফ (CISF), ২০ কোম্পানি আইটিবিপি (ITBP), ২৫ কোম্পানি এসএসবি (SSB) ও ২০ কোম্পানি আরপিএফ (RPF)।