সংক্ষিপ্ত

পাঁচ বছরের পুরনো মামালয়া গ্রেফতার বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থী তরণীকান্ত বর্মন। গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে গেছে।

 

দল বদল করতেই প্রশাসনের কোপ! পঞ্চায়েত ভোটের আগেই পুরনো বোমাবাজির মামলাতে গ্রেফতার করা হল বিজেপির জেলা পরিষদ সদস্যকে। ধৃতের নাম তরণীকান্ত বর্মন। তিনি দিনহাটার ২ নম্বর ব্লকের নজিরহাটের ২৬ নম্বর আসনে প্রার্থী তিনি। যদিও আগে তিনি ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্যও ছিলেন। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। তারপরই দল বদল করেন তিনি। নিশীথ প্রামানিকের হাত ধরেই পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন তরণীকান্তু বর্মন।

তরণীকান্ত বর্মনকে গ্রেফতারের কারণঃ

বুধবার রাতে তরণীকান্ত বর্মনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৮ সালের পুরনো একটি বোমাবাজির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ জানিয়েছেন ধৃতের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েঠিল। সেই কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজেপির দাবি

এই ঘটনায় রাজনৈতিক হিংসা বলে চিহ্নিত করেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি তরুণীকান্তের হাত ধরেই বিজেপি ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয় নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু বিজেপি জয় আটকাতেই দলীয় প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে কাজে লাগাচ্ছে বলেও অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

পাল্টা দাবি তৃণমূলেরঃ

পাল্টা তৃণমূল দাবি করেছে তরণীকান্ত বর্মন তৃণমূলের সদস্য ছিল। সন্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। নিশীথ প্রামানিক দল ভাঙিয়েছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। তিনি আরও বলেন তাঁর বিরুদ্ধে পুরনো মামলা ছিল। তাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ অপরাদ দমনে সর্বদা সক্রিয় থাকে। তাই গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই বলেও দাবি তাদের।

আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচব। ফল প্রকাশ হবে ১১ জুলাই। তবে তার আগেই রাজ্যের একাধিক জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছে। যেকটি জায়গায় লড়াই হচ্ছে সেখানে আশান্তিও চলছে। এই অবস্থায় পাঁচ বছর আগের পুরনো মামলায় তরণীকান্ত বর্মনের গ্রেফতারি নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। মনোনয়ন পর্ব ঘিরেও আশান্তি  হয়েছিল রাজ্যে। যারজেরে আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এখনও জটিলতা অব্যাহত। কেন্দ্রীয় সরকার ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছে। সূত্রের খবর সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত ৪০৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন চাওয়া হয়েছে তা বিষদে জানান হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

Panchayat Election 2023: '১১ জুলাই বাংলা ছাড়ার টিকিট বুক করে রাখুন রাজ্যপাল', সিভি আনন্দ বোসকে হুমকি মদন মিত্রের

লোকসভা ও পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাড়িতে রাতে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব

NRF: কোন গবেষণায় কত অর্থ নির্ধারন করবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বাধীন বোর্ড, তৈরি হল জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন