সংক্ষিপ্ত

মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান জেলার বড়শুলে।

ফের মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে অশান্তির চিত্র রাজ্যে। মুর্শিদাবাদের পর এবার উত্তপ্ত বর্ধমান। সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান জেলার বড়শুলে। দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে, মারামারি ও ইট বৃষ্টির অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। জানা যাচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়েই আক্রান্ত হন তাঁরা। সূত্রের খবর, বর্ধমান দুই ব্লকের বড়শুলে সোমবার মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একে অপরকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটও। পুলিশ বাধা দিতে গেলে আহত হতে হয় তাঁদেরও।

এই ঘটনার পরই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্থলে। ইট বৃষ্টির জেরে আহত হয়েছেন অনেকেই। শক্তিগড় থানার ওসি-সহ জখম হয়েছেন আরও দু'জন পুলিশ কর্মী। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদ জেলার পর এবার বর্ধমানেও ছড়িয়ে পড়ল অশান্তির আগুন।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই অশান্তির আবহ জেলায় জেলায়। ২০১৮-এর 'রক্তক্ষয়ী' স্মৃতি উঠে আসছে বারবার। বিরোধীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ায় বাধা-সহ একাধিক ইস্যুতে কাঠগড়ায় শাসক দল। ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে বাম কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের ভূমিকা ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে শাসকদলের থেকে এগিয়ে বিরোধীরা। সুজনের কথায়, 'আমাদের কর্মীরা অনেক জায়গাতেই মনোনয়ন জমা দিয়েছে এবং তার থেকেও বেশি জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েও দিতে পারেনি, কারণ নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত নয়। ছয় দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের গাফিলতিতে একদিন নষ্ট। এখন প্রশ্ন এই নষ্ট হবে জেনেই কি তৃণমূল বাহিনী আসেনি?' শুধু তাই নয় একাধিক জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন,'গতকাল মুর্শিদাবাদের রানিনগরে যখন আমাদের কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তখন তৃণমূলের নেতা বাইরের থেকে বাহিনী নিয়ে এসে আক্রমণ করেন। ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় কর্মীরা। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে রুখে দাঁড়িয়েছিল স্থানীয় মানুষেরা। যারা আক্রমণ করতে এসেছিল তাদের কার্যত তাড়া খেতে পালাতে হয়েছে, তৃণমূলকে তাড়া খেয়ে পালাতে হয়েছে।' সুজনের সংযোজন,'রানিনগর দেখে যেন তৃণমূল বোঝে যে মানুষ চায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে, সেটা যদি বাইরের থেকে বাহিনী এনে নষ্ট করার চেষ্টা করতে চায় তাহলে যেন রানিনগরের চেহারাটা মনে রাখে।'