সংক্ষিপ্ত
জয়নগর ১ নং ব্লক, এখানে কয়েকটি কেন্দ্র ছাড়া নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে তৃণমূল। তবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া যথেষ্ট স্বচ্ছ হয়েনি বলেই দাবি তুলল এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও এক কেন্দ্রে পুননির্বাচন চাইল বিজেপি। অভিযোগ নির্বাচন চলাকালীন 'ইচ্ছাকৃতভাবে'এলাকায় বন্ধ রাখা হয়ছিল বিদ্যুৎ পরিষেবা। দেওয়া হয়নি পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীও। এমনি নির্বাচন চলাকালীন ব্যালট বাক্সের চাবি হারিয়ে যায় বলে বুথেই ব্যালট বাক্সের তালা ভাঙার অভিযোগ তুলছেন এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এছাড়া ছাপ্পা, বিশৃঙ্খলা-একাধিক অভিযোগের জেরে পুননির্বাচনের দাবি তুললেন তাঁরা। এই মর্মে ইতিমধ্যেই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে ইলেকশন কমিশনার-সহ অন্যান্য দফতরে।
জয়নগর ১ নং ব্লক, এখানে কয়েকটি কেন্দ্র ছাড়া নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে তৃণমূল। তবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া যথেষ্ট স্বচ্ছ হয়েনি বলেই দাবি তুলল এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। তাই এই কেন্দ্রে ভোট খারিজ করে পুননির্বাচনের দাবি করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতমধ্যেই এই নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশন, জেলাশাসক, রির্টার্নিং অফিসার জেনারেল অবজার্ভার এবং স্পেশ্যাল অবসারভারের দফতরে। তবে কমিশনের থেকে উত্তর না পেলে পরবর্তীতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। বিজেপির আইনজীবী, সায়ন সচিন বসু জানিয়েছেন,'আমার কাছে অনেকগুলো অভিযোগ আসায় আমি আজ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। তবে মনে হয় না উত্তর আসবে। সেক্ষাত্রে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হবে।' অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি আরটিআই সেলের সদস্য সায়ন হাজরা জানিয়েছেন,'বহুবার অভিযোগ করেও ফল মেলেনি। এবার আইনি পথে এগোলাম। কালকের মধ্যে উত্তর না পেলে হাইকোর্টে যাওয়া হবে।'
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে ২০তে ২০ হলেও বিরোধীশূন্য জেলা গড়ায় গতবারের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়েছে তৃণমূল। ২০১৮ সালে ১১টি জেলায় ১০০ আসনে জিতেছিল মমতার দল। সেবার পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদ স্তরে বিরোধীদের সম্মিলিত আসন ছিল ৩.৮ শতাংশের কাছেকাছি। এবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৮ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ বিরোধীদের সম্মিলিত আসন সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশের কাছাকাছি। ২০১৮ সালে বিরোধীশূন্য জেলার তালিকায় ছিল জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম। এবারও বিরোধীশূন্য দক্ষিণ দিনাজপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান। এই তালিকায় এবার নাম জুড়েছে আলিপুর দুয়ারেরও। এখনও পর্যন্ত জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, পূর্ব বর্ধমানেও জেলা পরিষদে আসন পায়নি বিরোধীরা।