সংক্ষিপ্ত
যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে এবার চিন্তিত হয়ে পড়েছে রেল কর্তৃপক্ষও। উত্তর দিনাজপুর থেকে বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আয়োজিত হচ্ছে বিশেষ সচেতনতা শিবির।
চালুর হওয়ার পর প্রথম সপ্তাহেই পর পর দু'বার হামলার শিকার হয়েছে বন্দে ভারত। পশ্চিমবঙ্গে যে ট্রেন চালু হওয়া নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই বেশ উৎসাহিত ছিলেন সাধারণ মানুষ, সেই ট্রেনটি চালু হয়ে যাওয়ার পর লাগাতার এমন ধরনের ঘটনায় বেশ দমে গেছে সেই উৎসাহ, ট্রেনে চড়া নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করছেন অনেকে। সোমবারের পর যাত্রার তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে দেশের এই বিলাসবহুল সেমি স্পিড এক্সপ্রেসে। রেল সূত্রে জানা যায়, হামলার দুটি ঘটনাই ঘটেছে উত্তরবঙ্গে। বারবার পাথর ছোড়ার ঘটনাকে ঘিরে উদ্বেগ বেড়েছে যাত্রীদের মধ্য়ে। বঙ্গ রাজনীতিতেও শুরু হয়েছে একে অপরকে দোষারোপের ঘটনা। যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে এবার চিন্তিত হয়ে পড়েছে রেল কর্তৃপক্ষও। সেই দুশ্চিন্তার অবসান ঘটাতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবার থেকে যে পথে রওনা হবে, সেই পথে একগুচ্ছ বাড়তি সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ট্রেন যাওয়ার আগে ওই একই পথে আগে একটি রেইকি এক্সপ্রেস চালানোর পরিকল্পনা করছে রেল।
রেইকি এক্সপ্রেস চালানোর পাশাপাশি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রাপথের দুটি পাশে আরপিএফ এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দিয়ে নজরদারি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। পাশাপাশি ট্রেনের ভিতর আরও বেশি করে আরপিএফ জওয়ান মোতায়ন করা হবে। নজরদারি বাড়ানো হবে রেল লাইনের ওপরও। নিরাপত্তার বিষয়টি আরও জোরদার করতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে রেলের তরফে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রেলমন্ত্রক এবং রেল বোর্ডের কাছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আক্রান্ত হওয়ার যে রিপোর্ট গিয়েছে তার পর্যালোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। ট্রেনটির নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রীয় স্তর থেকেও আরও একাধিক নির্দেশ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে, প্রশাসনিক সুরক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজন সাধারণ মানুষের সচেতনতা। সেই উদ্যোগে, উত্তর দিনাজপুরের কাটিহার বিভাগের বিভিন্ন স্থানে একটি ধারাবাহিক সচেতনতা কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪ জানুয়ারি, বুধবার। ডিএসসি/কাটিহার/এনএফআর এর তত্ত্বাবধানে কুমারগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী গ্রামে সচেতনতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। আরপিএফ পোস্ট বারসাই এর আওতায় নিয়ামতপুর ও শীতলপুর গ্রামেও একই ধরনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কিষাণগঞ্জ আরপিএফ পোস্ট এর অধীনে মাঙ্গুরজান, মতিবাগ ও পাঞ্জিপাড়া এর কাছে ডাঙ্গিপুকুর গ্রাম এবং আরপিএফ পোস্ট নিউ জলপাইগুড়ির অধীনে জ্যোতির্ময় কলোনি ও অম্বিকা নগর এলাকাতেও সাধারণ মানুষদের এক জায়গায় নিয়ে এসে আয়োজিত হয় এই বিশেষ শিবির ।
এলাকার শিশু-কিশোর সহ সমস্ত মানুষকে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ এবং তার পরিণতি সম্পর্কে সচেতন করা হয়। উপরন্তু, সভায় জড়ো হওয়া জনসাধারণকে এই বিষয়ে সতর্কতা নেওয়া আবশ্যক বলে অবগত করা হয় এবং কোনওরকম সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করা গেলে বিলম্ব না করে আরপিএফ বা পার্শ্ববর্তী নিরাপত্তা সংস্থাকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
আরও পড়ুন-
আধার কার্ডের তথ্য আপডেটের ক্ষেত্রে চালু হল নতুন নিয়ম, নাগরিকদের জন্য বিশেষ সুবিধার উদ্ভাবন