সংক্ষিপ্ত
আরজিকর-কাণ্ডে নেওয়া হচ্ছে পলিগ্রাফি টেস্ট! কতটা বিশ্বাস যোগ্য এই প্রক্রিয়া বা আদৌ কি ধরা পড়বে অপরাধীরা?
তদন্তের ক্ষেত্রে অনেক সময়তেই পলিগ্রাফি টেস্ট করা হয়। সিনেমা বা সিরিজে আমরা এই টেস্টের প্রচুর উল্লেখ পাই। বড় বড় কেসের সমাধান হয়ে যায় এই টেস্টের মাধ্য়মে।
আরজিকর কাণ্ডেও মোট ৭ জনের পলিগ্রাফি টেস্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়, সন্দীপ ঘোষ ও সঞ্জয়ের বন্ধুর পলিগ্রাফি টেস্ট নেওয়া হবে। এ ছাড়াও পলিগ্রাফি টেস্ট করা হবে আরও ৩ চিকিৎসকের। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই টেস্টের প্রক্রিয়া।
কিন্তু কী এই পলিগ্রাফি টেস্ট জানেন কি? কোনও ব্যক্তি কোনও নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে সত্যি বলছে কি না তা জানতেই এই বিশেষ টেস্ট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
সাধারণত দোষীদের ধরার জন্যই এই প্রক্রিয়ার সাহায্য নেন তদন্তকারী সংস্থারা।
এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক অজয় গুপ্ত জানিয়েছেন, " এই পরীক্ষা নেওয়া হলে গ্রাফিক্যাল রিপোর্ট পাওয়া যায়, তা দেখে বোঝা যায় যে তাঁরা সত্যি বলছেন না কোনও রকম মানসিক চাপের মধ্যে বলছেন। বেশ কিছু প্রশ্নে তাঁর কী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তাও জানা যায় এই টেস্ট থেকে।"
অন্য আরও এক চিকিৎসক শোভন দাস জানান, " এই ক্ষেত্রে ফিজিওলজিক্যাল পরিবর্তনকেও লক্ষ করা হয়, কোনও কিছু লুকানোর চেষ্টা করলে বা অস্বীকার করার চেষ্টা করলে তাতে শরীরের কিছু পরিবর্তন ধরা পড়ে। হার্টবিট ও পালসের তারতম্য দেখা যায়। "
চিকিৎসকদের থেকে জানা যায় কোনও অপরাধের সঠিক তথ্য না পাওয়া গেলে দোষীর সন্ধানে এই টেস্ট করা হয়।
ঠিক কতটা ভরসাযোগ্য এই পরীক্ষার ফলাফল?
আদালত এই টেস্টের মান্যতা দিলেও এর বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকটাই কম। প্রায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সাফল্য মেলে ১০০ শতাংশ কখনই নয়। তবে জাপান বা ভারতের মতো অন্যান্য দেশের মনোবিদদের মতে এর কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
তবে এই টেস্ট করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি নিতে হয় অভিযুক্তেরও। কোনও ভাবে যার পলিগ্রাফি টেস্ট হবে সে রাজি না হলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। শেষমেশ আদালত যা রায় দেয় তাই হয়।