- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- ২ কাঠা করে জমি দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার! ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জমি বিলি! কীভাবে করবেন আবেদন, জানুন
২ কাঠা করে জমি দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার! ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জমি বিলি! কীভাবে করবেন আবেদন, জানুন
বড় খবর। কেন্দ্রকে ছাপিয়ে দুর্দান্ত প্রকল্প ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২ কাঠা করে জমি দিচ্ছে। জেনে নিন কারা পাবেন এই জমি।
| Published : Nov 07 2024, 06:25 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রতিটি রাজ্যে গরিব, দরিদ্র মানুষদের বাড়ি তৈরির জন্য সহায়তা করে আসছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে গত আড়াই বছরে এই প্রকল্পের রিপোর্টে নানা রকম গরমিল থাকায় কেন্দ্রীয় সরকার অর্থসাহায্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
যদিও পরে আবার আবাস যোজনার জন্য টাকা পাঠায় কেন্দ্র। ওদিকে কেন্দ্রের ভরসায় অপেক্ষা না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নিজস্ব অর্থে বাংলা আবাস যোজনার সূচনা করেছেন। আর এবার এই প্রকল্পে আরও বড় সুবিধা পেতে চলেছেন আবেদনকারীরা।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করতে সাধারণত ১ কাঠা করে জমি বরাদ্দ থাকে ভূমিহীন উপভোক্তাদের জন্য। কিন্তু রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ভূমিহীন আবাস উপভোক্তাদের ১ নয় ২ কাঠা করে জমি দেওয়া হবে। অর্থাৎ কেন্দ্রের দ্বিগুণ জমি দিচ্ছে রাজ্য।
ইতিমধ্যেই সকল জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে একজনও ন্যায্য প্রাপক এই আবাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন। অনেক সময় দেখা যায়, আবেদনকারী বর্তমানে যেখানে বসবাস করেন, তার কাছাকাছি কোনো ফাঁকা জমি থাকে না।
সেসব ক্ষেত্রে তাই উপভোক্তাদের গোটা বিষয়টি বুঝিয়ে অন্যত্র জমি প্রদান করতে হবে। এই কাজের জন্য প্রতিটি জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ও DLLRO-দের কাছে ভূমিহীন আবাস উপভোক্তাদের তালিকা থাকবে তাঁরাই এই ভূমিহীন আবাস উপভোক্তাদের জন্য জমি চিহ্নিত করে দেবেন।
জানা গিয়েছে গত অক্টোবর মাস থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছিল আবাস সমীক্ষা। কিন্তু সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে বহু আবেদনকারীর নিজস্ব কোনো জমি নেই।
অথচ তাঁরা সব দিক থেকেই বাড়ি তৈরির অর্থ পাওয়ার যোগ্য। তাই ভূমিহীনদের বাড়ি নির্মাণ নিশ্চিত করতেই এবার এই বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। আশা করা যাচ্ছে সরকারের এই নয়া উদ্যোগে প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে।
তবে এই পদক্ষেপের মধ্যেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এক অন্য মতলব দেখতে পাচ্ছে। তাঁদের মতে সামনেই রাজ্যে উপনির্বাচন।
তাই সেই নির্বাচনের লড়াইতে এটি শাসকদলের একটি মাস্টারস্ট্রোক বলাই যায়।
তার উপর সরকারের এই বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যবাসীর কাছে প্রমাণিত করতে চলেছে যে কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলি বেশি সুবিধা।