সংক্ষিপ্ত

২০১৪ সালের প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২২ সাল থেকে তদন্ত করছে সিবিআই।

 

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary recruitment corruption case) সিবিআই-এর (CBI) হাতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথি। যাতে স্পষ্ট তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নাকতলার বাড়ির চেম্বারে বসেই তৈরি হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির খসড়া। কারা আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে? কারা কারা নামের সুপারিশ করেছিলেন? তাঁরা কারা আর কাদের নাম সুপারিশ করেছিলেন? সব তথ্যই রয়েছে সিবিআই-এর হাতে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের তৎকালীন অনডিউটি স্পেশাল অফিসার প্রবীর বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও সিবিআইকে যাবতীয় তথ্য দিয়েছে বলেও দাবি সিবিআই সূত্রের।

২০১৪ সালের প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২২ সাল থেকে তদন্ত করছে সিবিআই। আদালতে পেশ করা সিবিআই রিপোর্ট নিয়ে আবারও রাজ্য রাজনীতিতে জলঘোরা হচ্ছে। সিবিআই সূত্রের খবর সল্টলেকে শিক্ষাভবন থেকে একটি নথি পেয়েছে সিবিআই। তাতে নামের সুপারিশ যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে সুপারিশকারীদের নাম।

সিবিআই সূত্রের খবর, প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ ১১ জনের নাম সুপারিশ করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ ২০ জনের, তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ২, বিধায়িকা বীণা মণ্ডল ১৩, তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ ১৬, শ্যামল সাঁতরা ২২ ,বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ৫ ও বিধায়ক গুলশন মল্লিক ১০ জনের নাম সুপারিশ করেছিলেন। তালিকায় রয়েছে তৎকালীন পুলিশ কর্তা ভারতী ঘোষের নামও। তিনি ৪ জনের নাম সুপারিশ করেছিলেন। তালিকায় থাকা দুই জন দিব্যেন্দু ও ভারতী বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের নামও আদালতে পেশ করা রিপোর্টে দিয়েছে সিবিআই।

সিবিআই সূত্রের খবর পার্থ ঘনিষ্ট অফিসার প্রবীর বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন পার্থর চেম্বারে কারা আসতেন। কীভাবে তৈরি হয়েছিল দুর্নীতির খসড়া। সিবিআই-এর হাতে এসেছে একটি নথি যেখানে ৩২৪ জনের নামের সুপারিশরয়েছে। সুপারিশকারীর নাম ও পদাধিকার লেখা রয়েছে ওপরে। যেগুলি মিলিয়ে দেখা হয়েছে প্রবীর বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বয়ানের সঙ্গেও।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।