সংক্ষিপ্ত
দুপুর ১২টা নাগাদ মন্ত্রী বিডিও অফিসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
গোসাবা বিডিও অফিসে ধুন্ধুমার, মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ। গোটা এলকয় চরম উত্তেজনা। ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলবর্তী সুন্দরবন এলাকায়, তা খতিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। সেই কারণে এদিন গোসাবা যান সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। সঙ্গে ছিলেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল-সহ অন্য আধিকারিকেরা। গোসাবায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতেই তারা গিয়েছিলেন। তবে বৈঠকে যোগদানের আগেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা।
দুপুর ১২টা নাগাদ মন্ত্রী বিডিও অফিসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ বিধায়ক সুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ গোসাবায় গত বিধানসভা উপনির্বাচনে বিধায়ক ভোটে জেতার জন্য এলাকার মানুষের কাছ থেকে প্রচুর টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর কেটে গেলেও সেই টাকা বিধায়ক ফেরত দেন নি। এলাকার কাজ ও তৃণমূল কর্মীদের না দিয়ে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে। আর সেই কারণেই এই মানুষজন বিক্ষোভ দেখান বিধায়কের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভের প্রতিবাদ করেন মন্ত্রী নিজেই। মন্ত্রীর সামনেই হাতাহাতি বেধে যায় বিধায়ক অনুগামীর সাথে ওপর গোষ্ঠীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরে গোসাবা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিযোগ গোটা ঘটনার ছবি তুলছিলেন অনেক সাংবাদিক। সেই সময় মন্ত্রী ও তৃণমূল কর্মীরা তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। যদিও তেমন কোনও অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়নি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগ নেন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। তিনি বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে পৌঁছে দেবেন। তিনি আরও বলেন,এজাতীয় পরিস্থিতি আর যাতে তৈরি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। তারপর তাঁরা বিডিও অফিসের ভিরতে ঢুকে যায়। কিন্তু সেই সময়ও গ্রামের মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।