সংক্ষিপ্ত
প্রায়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকে সমবেদনা জানিয়ে চিঠি লিখলেন রাহুল গান্ধী। চিঠিতে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ভারত এমন এমন একজন ব্যক্তিত্বকে হারাল যাঁর উচ্চাভিলাষী দুরদৃষ্টি পশ্চিমবঙ্গকে সুসংহত রূপ দিয়েছে। তাইর চিঠিতে উঠে এসেছে সিপিএম-এর কথাও।
রাহুল গান্ধী লিখেছেন, 'আদর্শগত গোঁড়ামীর সীমা অতিক্রম কে নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে তিনি বাংলার উন্নয়নে নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন।' সিপিএমএর প্রতি বুদ্ধদে ভট্টাচার্যের যে অবদান ছিল তাও চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকে লেখা রাহুল গান্ধীর চিঠি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। কারণ ২০১১ সালে পালা বদলের সময় রাজ্যে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস জোট সরকার। তার আগে রাজ্যে একাধিক আন্দোলন হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। সেই সময় কেন্দ্র রাজ্যকে কোনও সহযোগিতা করেনি। টাটা বিদায় নেয়। তাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের রাইটার্স দখলের পথ সুগম হয়। সেইসব কথা স্মরণ করেই রাহুলের এই চিঠি বলেও মনে করেছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি রাহুল চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বুদ্ধবাবু রাজ্যের উন্নয়নের জন্য দলীয় আদর্শের উর্ধ্বে উঠে কাজ করেছিলেন।
আজ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষকৃত্য। বিদায় মিছিলের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় এনআরএস কর্তৃপক্ষের হাতে। আগেই দেহ দান করে গিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানান হচ্ছে না। তাঁকে গ্যানস্যালুটে বিদায় জানান হবে না। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় গতকাল, বৃহস্পতিবারই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু মমতার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে সিপিএম। আর সেই কারণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানান হচ্ছে না সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।