সংক্ষিপ্ত

বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার শুনানির দিন রত্না সাংবাদিকদের বলেন, “এখনও সমাজের কাছে ‘ভদ্র’ মহিলা। আমার বাড়িতে এখনও কোনও পুরুষ মানুষ ঢোকে না।” 

শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার শুনানি ছিল সোমবার। গত ৩০ জানুয়ারি আদালতে এই বিচ্ছেদ মামলার শুনানি চলাকালীন বেশ অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল সেই কারণে ৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যেই হয় শুনানি।

এই নিরাপত্তার প্রসঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। আমি এতে খুশি। ভয় কাকে বলে সেটা ওনারা বুঝুক। ওনারা যা করে বেরিয়েছেন, বহু মানুষ ভয় পেয়েছে। আজ ওঁরা ভয় পাচ্ছে। আমার কোনও মানসিকতাই নেই ওনাকে কোনও নোংরা কথা বলার। উনি পুলিশ প্রোটেকশন নিয়ে রাজ্য সরকারের টাকা নষ্ট করছেন। আমি কোনও অন্যায় করিনি। তাই ভয় পাই না।” এখানেই শেষ নয়, রত্না আরও বলেন, “এই ডিভোর্স কেস চলবে। শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন আমি নাকি চ্যাটার্জি থেকে দাস হব, কিছুদিনের মধ্যেই। তাতে আমার কোনও লজ্জা নেই। বাবার পদবী নিলে আমি খুশিই হব।”

নিজের বিবাহিত জীবন সম্পর্কে এদিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বলেন, "এটা একটা ডেড ম্যারেজ। এই বিবাহের কোনও অস্তিত্ব নেই। কারণ বহুদিন আমার ওনার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। ফলে এটি বয়ে নিয়ে যাওয়ারও কোনও অবকাশ নেই।"

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রত্না বলেন, “ওনার কাছে সম্পর্কটা ডেড-ম্যারেজ হতেই পারে। কিন্তু আমি এখনও স্বামী হিসাবে মানি। আমি ডিভোর্সি নই। এখনও এই বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা ওনাকে টানতে হবে। আমি ‘চট্টোপাধ্যায়’ পদবী ব্যবহার করতে গর্ববোধ করি। কারণ, আমি এখনও ওনাকে স্বামী হিসেবে মানি।” তিনি আরও বলেন, “আমার শুভবুদ্ধি চিরকালই ছিল। এখনও আছে। আমার শুভবুদ্ধি রয়েছে বলেই ওরা এখনও লিভ-ইন করে। আমি এখনও সমাজের কাছে ‘ভদ্র’ মহিলা। আমার বাড়িতে এখনও কোনও পুরুষ মানুষ ঢোকে না। আর উনি একজন অন্য মহিলার স্বামীকে কেড়ে নিয়ে লিভ-ইন করেন। শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র থাকার পরেও এখনও এত ভীতু, সেটা আমি আগে বুঝতে পারিনি।”

আরও পড়ুন-

ভোরবেলার পর দুপুর ১টা, সোমবার দ্বিতীয় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক! দেশ জুড়ে মৃত্যুর হাহাকার
পরেশ রাওয়ালের বাঙালি-বিদ্বেষী মন্তব্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট
ডিএ ইস্যুতে আন্দোলনকারীদের পাশেই অপর্ণা সেন, তবে অমর্ত্য সেনের জমি প্রসঙ্গে আঙুল তুললেন কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে